নবীজি(সা) কি স্রিজোফ্রিনিয়া ও এপিলেপ্সি রোগে আক্রান্ত ছিলেন?


📛বিষয়ঃনবীজি(সা) কি স্রিজোফ্রিনিয়া ও এপিলেপ্সি রোগে আক্রান্ত ছিলেন?
✍লিখেছেনঃএমডি আলী।
🕵প্রাথমিক কথাঃমিথ্যাচারে পারদর্শী,অন্ধবিশ্বাসী, মানবতাহীন নাস্তিকরা যাদের অন্যতম একটি মিথ্যাচার হচ্ছে নবীজি (সা) নাকি স্রিজোফ্রিনিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলেন।কারন হিসেবে কাটছাঁট মার্কা কিছু গোঁজামিল দিয়ে তথ্যের সাথে ওদের মিথ্যা অভিযোগকে সত্য প্রমানের এক ভ্যাজাল মিশ্রণ করে মূর্খ নাস্তিকরা।আমি ওদের মিথ্যা কথা গুলোর পয়েন্ট ধরে ধরে নাস্তানাবুদ করব।যদিও আমি বার বার ওদের মিথ্যাচার গুলোকে এমন ভাবে নাকানিচুবানি খাইয়েছি যে আমার লেখা খণ্ডন করতে গিয়ে ওদের মিথ্যাচার আরও প্রকাশিত হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ্‌।আমি ইসলামের সেযব বিশুদ্ধ তথ্য দিয়ে নাস্তিকদের মিথ্যাচার খণ্ডন করব সেসব তথ্য যদি নাস্তিকরা অস্বীকার করে তাহলে ওদের ভ্রান্ত অভিযোগই বাতিল বলে গণ্য হবে কারন ওরা নিজেরাও ইসলামের সোর্স থেকেই ভ্রান্ত অভিযোগ গুলো করেছে।ইসলামের সোর্স থেকে অভিযোগ করতে পারলে সেসবের সঠিক জবাব ইসলামের সোর্স থেকে দিলে মানবে না কেন?অস্বীকার করার কোনো রাস্তা নেই।
☍স্রিজোফ্রিনিয়া কাকে বলে?
সুইডেনের মনোচিকিৎসক ইউজেন ব্লিউলার ১৯১১ সালে সিজোফেন্সনিয়া শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। শব্দটি এসেছে মূলত গ্রিক ভাষা থেকে। এর প্রথম অংশটিকে বলা হয় ‘সাইজো’ বা ‘সিজো’, যার অর্থ ভাঙা বা টুকরো। দ্বিতীয় অংশ হলো ‘ফেন্সনিয়া’ অর্থাৎ মন। কাজেই সিজোফেন্সনিয়ার পুরো শাব্দিক অর্থ দাঁড়ায় ভাঙা মন বা যে মন টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। মনোচিকিৎসক ব্লিউলারের থিউরি অনুসারে যখন আমাদের মস্থিস্কের কর্ম পদ্ধতি বোধশক্তি এবং বাস্তবতা কে চিন্তা শক্তিতে নিয়ে এককরে মিল রাখতে পারেনা তখন ই সিজোফেন্সনিয়ার অসুখটির শুরু হয় যাকে আমরা স্মৃতিভ্রষ্ট বলে জানি৷ অর্থাৎ এই রোগ হলে মানুষ কোন কিছু মনে রাখতে পারে না৷
🔸সূত্রঃ http://m.u71news.com/article/63806/index.html
সিজোফ্রেনিয়া একটি জটিলও দীর্ঘস্থায়ী মানসিক রোগ।এ রোগের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে চিন্তাধারা (প্রত্যক্ষণ, চিন্তন) এবং অনুভূতি প্রকাশের মধ্যে সঙ্গতি না থাকা। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেখলে মনে হয় বাস্তবতার সাথে তাদের কোন সম্পর্কই নেই।এই রোগকে অনেক সময় মানসিক রোগের ক্যানসার হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মানুষের রোগজনিত অক্ষমতার প্রথম ১০টি কারণের একটি সিজোফ্রেনিয়া। এতে আক্রান্তরা সম্মানহীন, বন্ধুহীন, আত্মীয়হীন অবস্থায় জীবনযাপন করে। শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়ে।
🔸সূত্রঃ https://www.daily-bangladesh.com/health-and-medical/26374
👉>নাস্তিকদের মিথ্যাচারে পূর্ণ ভ্রান্ত অভিযোগের দাফননামা<👈
❌অভিযোগ ১/অডিটরি হ্যালুসিনেসন এবং ডিলিউসনাল পারসেপশনঃএই ধরনের মানসিক রোগীরা মনে করে গায়েবি কেউ তার সাথে কথা বলছে বা তাকে কোন আদেশ দিচ্ছে।উক্ত আওয়াজটি ঐ রোগী ব্যাতিত আর কেউই শুনতে পায় না।মুহাম্মদও মনে করতেন,জিব্রাইল তার সাথে কথা বলছে,তাকে কুরআনের আয়াত পড়ে শুনাচ্ছে,যেই আওয়াজ মুহাম্মদ ছাড়া আর কেউই শুনতে পেত না।এই ধরনের রোগীরা অলিক কল্পনা করে,যেমন হয়তো তার সামনে কিছুই নেই, কিন্তু সে দেখবে, একটি বাঘ দৌড়ে তার দিকে আসছে।সেই দৃশ্য আবার সে নিজে ছাড়া অন্য কেউ দেখতে পায় না। মুহাম্মদ ও এইরকম ভাবত, জিব্রাইল তাকে জড়িয়ে ধরছে,যেটা সে নিজে ছাড়া আর কেউ দেখতে পেত না।
✅জবাবঃজিব্রাইল (আ) দুইভাবে আসতেন প্রথমটি অদৃশ্যভাবে যা নবীজি (সা) ছাড়া কেউই দেখার সুযোগ নেই কিন্তু দ্বিতীয়টি আসতেন মানুষ বেশে যা দেখার সুযোগ সবারই হয়েছে এবং দেখেছেও।
ihadis.com,সুনানে আন নাসায়ী,হাদিসঃ৯৩৩,সহিহ হাদিস।নসরুল বারী শরহে সহিহ আল বুখারী,বাংলা,৭ খণ্ড, ৩৫৭ পৃষ্ঠা । এসব সুত্র থেকে জানা যায় নবীজি (সা) বলেছেন ওহীর ফেরেশতা কখনো কখনো মানুষের বেশে আসতেন।
সবার সামনে পূর্ণ মজলিশে এক লোক আসলো যাকে কোন দিন কেউ দেখে নাই সে এসে আবার চলে গেল কয়েক মুহূর্তেই অনেক সন্ধান করেও আর দেখা গেল না সেই লোকটিকে এটা কিভাবে সম্ভব?নবিজি (সা) বলেছেন সেটা জিব্রাইল (আ) ছিলেন।তাই জিব্রাইল (আ)কে নবীজি (সা) ছাড়া কেউই দেখে নাই এই দাবী ভুল,মিথ্যা।নবীজি (সা) যেহেতু দাবী করেছেন ফেরেশতা কখনো কখনো মানুষের বেশে আসে আর এমনটি ঘটেছেও তাই বুঝা যাচ্ছে নবীজি (সা) যা বলেছেন সত্যই বলেছেন।যুক্তির খাতিরে যদি নবিজি (সা) স্রিজোফ্রিনিয়া রোগে আক্রান্তই হবেন তাহলে সেই অজানা লোকটি কে ছিল?যাকে সবাই দেখল কিন্তু কয়েক মুহূর্তেই সে অদৃশ্য হয়ে গেল?আশা করি এই লোকের পরিচয় হিংসুক নাস্তিকরা কুরআন সুন্নাহ থেকেই দিবেন?
এই পুরো হাদিসটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ihadis.com,সহিহ বুখারি,হাদিসঃ৫০,সহিহ হাদিসঃআবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, একদা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনসমক্ষে উপবিষ্ট ছিলেন, এমন সময় তাঁর নিকট জনৈক ব্যক্তি এসে জিজ্ঞেস করলেন ‘ঈমান কি?’ তিনি বললেনঃ ‘ঈমান হল, আপনি বিশ্বাস রাখবেন আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি, (ক্বিয়ামাতের দিন) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের প্রতি এবং তাঁর রসূলগণের প্রতি। আপনি আরো বিশ্বাস রাখবেন পুনরুত্থানের প্রতি।’ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইসলাম কি?’ তিনি বললেনঃ ‘ইসলাম হল, আপনি আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং তাঁর সাথে অংশীদার স্থাপন করবেন না, সালাত প্রতিষ্ঠা করবেন, ফরয যাকাত আদায় করবেন এবং রমযান-এর সিয়ামব্রত পালন করবেন।’ ঐ ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইহসান কি?’ তিনি বললেনঃ ‘আপনি এমনভাবে আল্লাহর ‘ইবাদত করবেন যেন আপনি তাঁকে দেখছেন, আর যদি আপনি তাঁকে দেখতে না পান তবে (মনে করবেন) তিনি আপনাকে দেখছেন।’ ঐ ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ‘কিয়ামত কবে?’ তিনি বললেনঃ ‘এ ব্যাপারে যাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে, তিনি জিজ্ঞেসকারী অপেক্ষা অধিক জ্ঞাত নন। তবে আমি আপনাকে ক্বিয়ামাতের আলামতসমূহ বলে দিচ্ছিঃ বাঁদী যখন তার প্রভুকে প্রসব করবে এবং উটের নগণ্য রাখালেরা যখন বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণে প্রতিযোগিতা করবে। (ক্বিয়ামাতের জ্ঞান) সেই পাঁচটি জিনিসের অন্তর্ভুক্ত, যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না।’ অতঃপর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই আয়াতটি শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেনঃ ‘কিয়ামাতের জ্ঞান কেবল আল্লাহরই নিকট.......।’ (সূরা লুক্বমান ৩১/৩৪) এরপর ঐ ব্যক্তি চলে গেলে তিনি বললেনঃ ‘তোমরা তাকে ফিরিয়ে আন।’ তারা কিছুই দেখতে পেল না। তখন তিনি বললেন, ‘ইনি জিবরীল (‘আঃ) ; লোকদেরকে তাদের দ্বীন শেখাতে এসেছিলেন।’ আবূ ‘আবদুল্লাহ বুখারী (রহঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসব বিষয়কে ঈমানের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। -আল লু’লু ওয়াল মারজান,হাদিসঃ৫, সহিহ হাদিস/সহিহ মুসলিম,হাদিসঃ৭,সহিহ হাদিস।

নাস্তিকদের প্রিয় কাফের আবু জাহেলের সাথে এমন কি হয়ে গেল যে নবীজি (সা)এর ঘাড় মাড়িয়ে দিতে পারে নাই? হাদিসটি পড়ুন।

আনওয়ারুল মিশকাত শরহে মিশকাতুল মাসাবিহ, ৭ খণ্ড,১৪৯-১৫০ পৃষ্ঠা, ৫৬০৬ নং হাদিসঃ হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন একদা আবু জাহেল মক্কার কাফের কুরাইশদেরকে বলল তোমাদের সম্মুখে মোহাম্মদ (সা) কি তার চেহারা মাটিতে লাগায়? অর্থাৎ সে নামাজ পড়ে? বলা হল, হ্যাঁ।তখন আবু জাহেল বলল লাত ও উযযার কসম! যদি আমি তাকে এরূপ করতে দেখি তাহলে আমি পা দিয়ে তার ঘাড় মাড়িয়ে দেব।অতপর সে রাসুল (সা)এর নিকট আসল তখন তিনি নামাজ পড়ছিলেন।তখন আবু জাহেল নবী করীম (সা) এর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।তৎক্ষণাৎ দেখা গেল সে তড়িৎবেগে পিছনের দিকে চলছে এবং উভয় হাত দ্বারা নিজেকে আত্মরক্ষা করে চলছে।তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো তোমার কি হয়েছে? সে বলল আমি দেখছি আমার ও মোহাম্মদের মাঝখানে আগুনের পরিখা ও ভয়ংকর দৃশ্য এবং ডানবিশিষ্ট দল।উক্ত ঘটনা প্রসঙ্গে রাসুল (সা) বলেছেন যদি সে আবু জাহেল আমার নিকটবর্তী হতো তাহলে ফেরেশতাগণ তার এক এক অঙ্গ ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলত। - মুসলিম ।

নবীজি (সা) যদি স্রিজোফ্রিনিয়া রোগী হতেন তাহলে তো আবু জাহেল এমনিতেই সেই সুযোগ নিতে পারতেন? অর্থাৎ এমন কিছুই হতো না কিন্তু আবু জাহেল যা দেখেছে সেটা কিভাবে সম্ভব? এর থেকে কি প্রমান হয় না মোহাম্মদ (সা) সত্য নবী ছিলেন? নাস্তিকরা এই ঘটনা কিভাবে অস্বীকার করবে?
আরও রেফারেন্স দেই যেখান থেকে সরাসরি প্রমান হবে নবীজি (সা) শুধু একাই ফেরেশতাদের দেখেন নাই বরং উনার সাহাবীরাও দেখেছে।
Ihadis.com, হাদিস সম্ভার, হাদিসঃ ৬৪, সহিহ হাদিসঃ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ বদর যুদ্ধে মুসলিমদের এক আনসার ব্যক্তি মুশরিকদের এক ব্যক্তির পিছনে ধাওয়া করছিল। হঠাৎ সে তার উপরে চাবুকের শব্দ শুনতে পেল এবং অশ্বারোহীর শব্দ (ঘোড়া হাঁকানোর শব্দ) শুনতে পেল ‘অগ্রসর হও হাইযূম।‘ অতঃপর সে মুশরিককে তার সামনে দেখতে পেল, সে চিৎ হয়ে পড়ে গেল। লক্ষ্য করল, মুশরিকের নাক বিক্ষত হয়েছে এবং তার মুখমন্ডল ছিড়ে গেছে। যেন চাবুকের আঘাত পড়েছে, ফলে পুরোটা সবুজ (বা কালো) হয়ে গেছে। আনসারী এসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে ঘটনা খুলে বললে তিনি বললেন, “ঠিক বলেছ, এ ছিল তৃতীয় আসমান থেকে সাহায্য।”
যুদ্ধের ময়দানে এমন ঘটনার কি ব্যাখ্যা দিবে মিথ্যুক নাস্তিকরা?নাকি বলবে আমরা এসব মানি না? জিব্রাইল (আ) যদি নবীজি (সা) শুধু নিজেই দেখতেন তাহলে জনসমক্ষে সবার সামনে কিছু সময়ের জন্য এসে আবার অদৃশ্য হলো কেন? কিভাবে? কিছু সময়ের জন্য জনসমক্ষে ব্যাপক মানুষের সামনে এসে আবার সবার সামনের থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া এটা কিভাবে সম্ভব?তার মানে দাঁড়াচ্ছে নবীজি (সা) নিজে যে জিব্রাইল (আ)কে দেখতেন এবং সেই ফেরেশতা যে কখনো কখনো মানুষের বেশে আসতো সেটা সম্পূর্ণ সত্য ও বাস্তব।
শুধু কি তাই এমন বিশুদ্ধ ঘটনা আরও আছে যার থেকে প্রমান হয় নবীজি (সা) যেই ফেরেশতার দেখা পেয়েছিলেন সেটা সত্য এবং সেই ফেরেশতা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে সেটাও চিরন্তন সত্য। দেখুন আরেকটা প্রমান দেই।
Ihadis.com,জামে আত তিরমিজি,হাদিসঃ২০৮০,সহিহ হাদিসঃউসমান ইবনু আবুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট এলেন। আমি তখন ধ্বংসাত্মক ব্যথার কারণে অস্থির ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ব্যথার জায়গাতে তোমার ডানহাত দিয়ে সাতবার মর্দন কর এবং বল, “ আমি আল্লাহ তা’আলার ইজ্জাত ও সম্মান, তাঁর কুদরাত ও শক্তি এবং তাঁর রাজত্ব, সার্বভৌমত্ব ও কর্তৃত্বের নিকট আমার এই কষ্ট হতে মুক্তি প্রার্থনা করছি”। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তা-ই করলাম। আমার সম্পূর্ণ ব্যথাই আল্লাহ তা’আলা সারিয়ে দিলেন। আমি এরপর হতেই আমার পরিবারের লোকদেরকে এবং অন্যান্যদেরকে এরূপ করার জন্য নির্দেশ দিয়ে আসছি।
কোন স্রিজোফ্রিনিয়া রোগী কি ধ্বংসাত্মক ব্যথা সাথে সাথে কিছু বাক্য পড়ে সুস্থ করতে পারে?এটার কি জবাব কুরআন সুন্নাহ থেকে দিবে নাস্তিক অন্ধবিশ্বাসীরা? এর জবাব তো বিশুদ্ধ হাদিসেই আছে যে আল্লাহ সেই লোকের ব্যথা সম্পূর্ণ সারিয়ে দিলেন।
Ihadis.com,সহিহ বুখারী,হাদিসঃ৪১৫২,সহিহ হাদিসঃজাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, হুদাইবিয়ার দিন লোকেরা পিপাসার্ত হয়ে পড়লেন। এ সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট একটি চামড়ার পাত্র ভর্তি পানি ছিল। তিনি তা দিয়ে ওযু করলেন। তখন লোকেরা তাঁর দিকে এগিয়ে আসলে তিনি তাদেরকে বললেন, কী হয়েছে তোমাদের? তারা বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনার চর্মপাত্রের পানি বাদে আমাদের কাছে এমন কোন পানি নেই যা দিয়ে আমরা ওযু করতে এবং পান করতে পারি। বর্ণনাকারী জাবির (রাঃ) বলেন, এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাত ঐ চর্মপাত্রে রাখলেন। অমনি তার আঙ্গুলগুলো থেকে ঝরণার মতো পানি উথলে উঠতে লাগল। জাবির (রাঃ) বলেন, আমরা সে পানি পান করলাম এবং ওযু করলাম। [সালিম (রহঃ) বলেন] আমি জাবির (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা সেদিন কতজন ছিলেন? তিনি বললেন, আমরা যদি একলাখও হতাম তবু এ পানিই আমাদের জন্য যথেষ্ট হত। আমরা ছিলাম পনের’শ।
সামান্য ক্ষুদ্র একটি চামড়ার পাত্র থেকে এতো এতো মানুষ পানি খাওয়া সম্ভব যেখানেই সেখানে আর পানি পাওয়ার কোন মাদ্ধমই নেই? যদি উনি একজন স্রিজোফ্রিনিয়া রোগীই হবেন তাহলে এমন ঘটনা কার সাহায্যে ঘটালো? যেই সাহায্যে ঘটালো সেটা তারমানে সত্য?
Ihadis.com,সহিহ বুখারী,হাদিসঃ৫৩৮২,সহিহ হাদিসঃ ‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাক্‌র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ একবার আমরা একশ’ ত্রিশ জন লোক নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে ছিলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের কারো কাছে কিছু খাবার আছে কি? দেখা গেল, জনৈক ব্যক্তির কাছে প্রায় এক সা’ পরিমাণ খাবার আছে। এগুলো গুলিয়ে খামীর করা হলো। তারপর দীর্ঘ দেহী, দীর্ঘ কেশী এক মুশরিক ব্যক্তি একটা বক্‌রী হাঁকিয়ে নিয়ে আসল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটা কি বিক্রির জন্য, না উপঢৌকন অথবা তিনি বললেনঃ দানের জন্য? লোকটি বললোঃ না, আমি বরং বিক্রি করব। তিনি তার নিকট হতে সেটি কিনে নিলেন। পরে সেটি যব্‌হ করে বানানো হল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কলিজা ইত্যাদি ভুনা করার আদেশ দিলেন। আল্লাহর শপথ! তিনি একশ’ ত্রিশজনের প্রত্যেককেই এক টুকরা করে কলিজা ইত্যাদি দিলেন। যারা হাযির ছিল তাদের তো দিলেনই। আর যারা অনুপস্থিত ছিল তাদের জন্যও তিনি টুকরাগুলো উঠিয়ে রাখলেন। তারপর খাবারগুলো দু’টো পাত্রে রাখলেন। আমরা সকলে তৃপ্তিসহ আহার করলাম। এরপরও দু’ পাত্রে খাবার অবশিষ্ট থাকল। আমি তা উটের পিঠে তুলে নিলাম। কিংবা রাবী যা বলেছেন।

সামান্য একটি ছাগল ১৩০ জন তৃপ্তিসহ ভক্ষন করা কি সম্ভব? অথচ বিশুদ্ধ হাদিস থেকে আমরা তাই দেখছি, নবীজি (সা) আসলে কি করেছিলেন যার কারনে এমন ঘটনা ঘটে গেল? মানসিক রোগী কেউ কি এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে?এসব ঘটনার একমাত্র জবাব নবীজী (সা) আল্লাহর সাহায্যে এমন ঘটনা দেখিয়েছেন এবং সাহাবীরাও অবাক হতে বাধ্য হয়েছে কিন্তু নাস্তিকদের ভ্রান্ত কথা অনুযায়ী নবীজী (সা) যদি স্রিজোফ্রিনিয়া রোগীই হবেন তাহলে এমন একটি অসম্ভব ঘটনা কার সাহায্যে ঘটালেন?নাকি নবীজী (সা) যা বলেছেন সবই সত্য? নাস্তিকরা কি এখনো আরও ধোঁকা দিবে?
Ihadis.com,রিয়াদুস সলেহীন,হাদিসঃ৫০৭,সহিহ হাদিসঃ আবু হির নামক এক লোক প্রচুর ক্ষুধার্ত ছিল। নবীজী (সা) এর কাছে এক পেয়ালা দুধ উপহার আসে। আহলে সুফ্ফাদের ডেকে আন ।উনারা ইসলামের অনেক উপকার করেছে। তিনি যখন তাঁদেরকে ডাকতে বললেন, তখন আমার খারাপ লাগল। আমি (মনে মনে) বললাম, ‘এই টুকু দুধে আহলে সূফ্ফাদের কী হবে? আমিই তো বেশী হকদার যে, এই দুধ পান করে একটু শক্তিশালী হতাম।কিন্তু নবীজির আদেশ মানাতেই হবে। উনারা আসলে নবীজী (সা) পেয়ালা হাতে নিয়ে সবাইকে দিতে বললেন এবং সবাই তৃপ্তিসহকারে দুধ পান করলেন।পরিশেষে নবীজী (সা) আমাকে পান করতে বললেন,এমনকি আরও পান করতে বললেন, আমি পেট ভরে দুধ খেলাম। নবীজী (সা) আরও পান করতে বললেন, পরিশেষে আমি বললাম, ‘না। (আর পারব না।) সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, এর জন্য আমার পেটে আর কোন জায়গা নেই!’ অতঃপর তিনি বললেন, ‘‘কৈ আমাকে দেখাও।’’ সুতরাং আমি তাঁকে পিয়ালা দিলে তিনি মহান আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং ‘বিসমিল্লাহ’ বলে অবশিষ্ট দুধ পান করলেন।
একজন স্রিজোফ্রিনিয়া মানুষ কিভাবে সামান্য একটি পেয়ালা থেকে এতো এতো মানুষদের তৃপ্তিসহকারে দুধ খাওয়াতে পারে? এটা কিভাবে সম্ভব আল্লাহর সাহায্য ছাড়া? যদি নবীজী (সা) আল্লাহর নবী নাই হতেন অথবা মিথ্যাই বলতেন অথবা রোগে আক্রানই হতেন তাহলে এমন ঘটনা কখনই দেখাতে পারতেন না। তাই এটাই প্রমান করে নবীজী (সা) এর কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে সেই ফেরেশতা আসতো তথা জিব্রাইল (আ) সেটা পুরোপুরি সত্য।
Ihadis.com,সহিহ বুখারি,হাদিসঃ৩৫৮০,সহিহ হাদিসঃ জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতাঁর পিতা (‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) উহুদ যুদ্ধে) ঋণ রেখে শাহাদাত লাভ করেন। তখন আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, আমার পিতা অনেক ঋণ রেখে গেছেন। আমার কাছে বাগানের কিছু খেজুর ছাড়া অন্য কোন মাল নেই। কয়েক বছরের খেজুর একত্র করলেও তাঁর ঋণ শোধ হবে না। আপনি দয়া করে আমার সঙ্গে চলুন, যাতে পাওনাদার আমার প্রতি কঠোর মনোভাব গ্রহণ না করে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সঙ্গে গেলেন এবং খেজুরের একটি স্তূপের চারপাশে ঘুরে দু’আ করলেন। অতঃপর অন্য স্তূপের নিকটে গেলেন এবং এর উপরে বসলেন এবং জাবির (রাঃ) -কে বললেন, খেজুর বের করে দিতে থাক। সকল পাওনাদারের প্রাপ্য শোধ হয়ে গেল আর তাদের যত দিলেন তত থেকে গেল।
যেই লোক নিজে দাবী করলো কয়েক বছর খেজুর জমা করলেও ঋণ পরিশোধ হবে না সেখানে নবীজী (সা) দুয়া করলেন আর সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে খেজর বের করলেন যে পাওনাদারের প্রাপ্ত শোধ হয়ে গেল। তারমানে নবীজী (সা) এর আল্লাহর কাছে যেই দুয়া করেছিলেন সেটা সত্য এবং আল্লাহ সত্য।যদি নবীজী (সা) মিথ্যাবাদী হতেন তাহলে উনার দোয়ার কোন ফলাফল দেখা যেত না এই মুহূর্তে সব সময় তাই এটাও অন্যতম শক্তিশালী প্রমান যে নবীজী (সা) স্রিজোফ্রিনিয়া রোগী হবেন তো দূরের কথা বরং তিনি আসল সত্য আল্লাহর পক্ষে থেকেই নবী ছিলেন।
ihadis.com,সহিহ বুখারি,হাদিসঃ১০২১,সহিহ হাদিসঃ আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, জুমু‘আর দিন আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুত্‌বা দিচ্ছিলেন। তখন লোকেরা দাঁড়িয়ে উচ্চৈঃস্বরে বলতে লাগল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেছে, গাছপালা লাল হয়ে গেছে এবং পশুগুলো মারা যাচ্ছে। তাই আপনি আল্লাহ্‌র নিকট দু‘আ করুন, যেন তিনি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করেন। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ্! আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করুন। এভাবে দু’বার বললেন। (বর্ণনাকারী বলেন,) আল্লাহ্‌র কসম! আমরা তখন আকাশে এক খণ্ড মেঘও দেখতে পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ মেঘ দেখা দিল এবং বর্ষণ হলো। তিনি (রসূলুল্লাহ্‌) মিম্বার হতে নেমে সালাত আদায় করলেন। অতঃপর যখন তিনি চলে গেলেন, তখন হতে পরবর্তী জুমু‘আ পর্যন্ত বৃষ্টি হতে থাকে। অতঃপর যখন তিনি (দাঁড়িয়ে) জুমু‘আর খুত্‌বা দিচ্ছিলেন, তখন লোকেরা উচ্চৈঃস্বরে তাঁর নিকট নিবেদন করল, ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হচ্ছে, রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। তাই আপনি আল্লাহ্‌র নিকট দু‘আ করুন যেন আমাদের হতে তিনি বৃষ্টি বন্ধ করেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃদু হেসে বললেনঃহে আল্লাহ্‌! আমাদের আশে পাশে, আমাদের উপর নয়। তখন মদীনার আকাশ মুক্ত হলো আর এর আশে পাশে বৃষ্টি হতে লাগল। মদীনায় তখন এক ফোঁটা বৃষ্টিও হচ্ছিল না। আমি মদীনার দিকে তাকিয়ে দেখলাম, মদীনা যেন মুকুটের ন্যায় শোভা পাচ্ছিল।
মিথ্যুক নাস্তিকরা কি এসব বিশুদ্ধ তথ্য অস্বীকার করবে? প্রথম দুয়ায় প্রচুর বৃষ্টি, দ্বিতীয় দুয়ায় আশে পাশে বৃষ্টি এটা কি একজন স্রিজোফ্রিনিয়া রোগীর পক্ষে করা সম্ভব?একজন সাধারন মানুষের পক্ষে এমন এমন সব ঘটনা ঘটানো কিভাবে সম্ভব?
Ihadis.com, সহিহ বুখারি,হাদিসঃ৩১৬৯,৫৭৭৭,সহিহ হাদিসঃআবূ হুরাইরাহ্‌(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, যখন খায়বার বিজিত হয়, তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একটি (ভুনা) বকরী হাদিয়া দেয়া হয়; যাতে বিষ ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদেশ দিলেন যে, এখানে যত ইয়াহূদী আছে, সকলকে একত্র কর। তাদের সকলকে তাঁর সামনে একত্র করা হল। তখন তিনি বললেন, ‘আমি তোমাদের একটি প্রশ্ন করব। তোমরা কি আমাকে তার সত্য উত্তর দিবে?’ তারা বলল, ‘হ্যাঁ, সত্য উত্তর দিব।’ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের পিতা কে?’ তারা বলল, ‘অমুক’। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘তোমরা মিথ্যা বলেছ, বরং তোমাদের পিতা অমুক।’ তারা বলল, ‘আপনিই ঠিক বলেছেন।’ তখন তিনি বললেন, ‘আমি যদি তোমাদের একটি প্রশ্ন করি, তোমরা কি তার সঠিক উত্তর দিবে?’ তারা বলল, ‘হ্যাঁ, দিব, হে আবুল কাসিম! আর যদি আমরা মিথ্যা বলি, তবে আপনি আমাদের মিথ্যা ধরে ফেলবেন, যেমন আমাদের পিতা সম্পর্কে আমাদের মিথ্যা ধরে ফেলেছেন।’ তখন তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘কারা জাহান্নামবাসী?’ তারা বলল, ‘আমরা তথায় অল্প কিছুদিন অবস্থান করব, অতঃপর আপনারা আমাদের পেছনে সেখানে থেকে যাবেন।’ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘দূর হও, তোমরাই সেখানে থাকবে। আল্লাহ্‌র কসম! আমরা কখনো তাতে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত হব না।’ অতঃপর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘আমি যদি তোমাদের একটি প্রশ্ন করি, তোমরা কি তার সঠিক উত্তর দিবে?’ তারা বলল, ‘হ্যাঁ, হে আবুল কাসিম!’ আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা কি এ বকরীটিতে বিষ মিশিয়েছ? তারা বলল, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ‘কিসে তোমাদের এ কাজে উদ্বুদ্ধ করল?’ তারা বলল, ‘আমরা চেয়েছি আপনি যদি মিথ্যাচারী হন, তবে আমরা আপনার নিকট হতে স্বস্তি লাভ করব। আর আপনি যদি নবী হন তবে তা আপনার কোন ক্ষতি করবে না।
এই ইহুদীরা যেই শর্ত দিয়েছে সেই শর্তেও নবীজি (সা) সত্য নবী সেটা প্রমানিত।খেয়াল করুন নবীজি (সা) কে কেউই আগে জানায় নাই যে এই পাত্রে বিষ ছিল কিন্তু তারপরেও নবীজি (সা) সেটা জেনে ফেলেছেন।আল্লাহ যদি না জানায় তাহলে আর কে জানাবে নবীজি (সা)?
Ihadis.com,সহিহ বুখারী,হাদিসঃ২,সহিহ হাদিসঃ আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি তীব্র শীতের সময় ওয়াহী নাযিলরত অবস্থায় তাঁকে দেখেছি। ওয়াহী শেষ হলেই তাঁর ললাট হতে ঘাম ঝরে পড়তো। আবার অন্য বর্ণনায় আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন, উটনীর ওপর সওয়ার থাকা অবস্থায় যখনই তার ওপর অহী নাযিল হতো উটনী তখন তার বুক মাটিতে ঠেকিয়ে দিতো। অহী নাযিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে নড়াচড়া পর্যন্ত করতে পারতো না। [মুসনাদে আহমাদ: ৬/১১৮, মুস্তাদরাকে হাকিম: ২/৫০৫] [ইবন কাসীর]
সুত্রঃ https://www.hadithbd.com/quran/tafsir/?sura=73
প্রশ্ন হচ্ছে তীব্র শীতে বিনা কারনে কি কখনো ঘাম ঝরতে পারে? অথচ নবীজি (সা) কিছুই করতেন না তারপরেও তীব্র শীতে যখন আয়াত নাযিল হতো উনার ললাট তথা কপাল থেকে ঘাম ঝরে পড়তো।শুধু কি তাই যখন কুরআনের আয়াত নাযিল হতো আয়াতের ভারে উটনী তখন তার বুক মাটিতে ঠেকিয়ে দিতো। এবং আয়াত নাযিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত নাড়াচাড়াই করতে পারতো না।নবীজি (সা) যদি সত্য না হতেন তাহলে এসবের কি ব্যাখ্যা মিথ্যুক নাস্তিকরা দিবে?
সুতরাং প্রথম মিথ্যা অভিযোগটির দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
❌অভিযোগ ২/ থট ব্রডকাস্টিং,ইন্সারসন,উইথড্রয়ালঃএই ধরনের মানসিক রোগীরা মনে করে আশেপাশের সবাই বুঝি তার চিন্তাভাবনা গুলো জেনে ফেলল বা কেউ তার মধ্যে কোন চিন্তা ঢুকিয়ে দিচ্ছে বা কেউ হয়ত তার চিন্তা গুলো তার মস্তিস্ক থেকে সরিয়ে দিচ্ছে। মুহাম্মদ ও মনে করত, সে যে বানিয়ে বানিয়ে কুরআন লিখছে; নিজের সুবিধামত আয়াত ডাউনলোড করছে, এটা আবার কেউ জেনে ফেলল কিনা, এই ভয়ে সে কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় বলেছে, এটা মহাসত্য গ্রন্থ, এর উপর বিশ্বাস স্থাপন না করা মহাপাপ ইত্যাদি। আর এটা তো সে ভাবতই যে, জিব্রাইল কুরআনের আয়াত গুলো তার মনে ঢুকিয়ে দিচ্ছে।
✅জবাবঃমিথ্যাচার এইবার হাতে কলমে ধরা খেয়েছে। পাঠক অভিযোগটি আবার পড়ুন। বৈপরীত্যটি ধরতে পেরেছেন? নবীজি (সা) যদি এটা চিন্তাই করতেন যে কেউ উনার চিন্তাভাবনা জেনে ফেলবে তাহলে উনি তো কুরআনকে গোপন করতেন,সবার থেকে লুকাতেন,নিজেকে নবীই দাবী করতেন না কিন্তু এরকম উনি করেন নাই।কেন? উনি লুকাতে চান নাই বিধাই কুরআনকে সত্য বলে স্বীকার করতে বলেছিলেন কারন কুরআন সত্য এবং এই সত্য বানী সবাই জানুক সেটাই তিনি চেয়েছিলেন। এবং আল্লাহ থেকে প্রাপ্ত একমাত্র সত্য বানী নবীজি (সা) চাইতেন যে সবাই এটা স্বীকার করুক।
Ihadis.com, জামে আততিরমিজি,হাদিসঃ২৬৬৯,সহিহ হাদিসঃরাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার পক্ষ থেকে একটি মাত্র আয়াত হলেও তা (মানুষের নিকট) পৌঁছে দাও। আর বানী ইসরাঈলের বরাতে (হাদীস) কথা বর্ণনা করতে পার, এতে কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার উপর মিথ্যা চাপিয়ে দেয়, সে যেন জাহান্নামে তার থাকার জায়গা নির্ধারণ করে নেয়।
ihadis.com,সহিহ হাদিসে কুদসী,হাদিসঃ১১০,সহিহ হাদিসঃ আবু ওয়াকেদ লাইসি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকট আসতাম, যখন তার ওপর কিছু নাযিল হত তিনি আমাদের বলতেন, একদা তিনি আমাদের বলেনঃ “আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ আমি সম্পদ নাযিল করেছি সালাত কায়েম করা ও যাকাত প্রদান করার জন্য, যদি বনি আদম একটি উপত্যকার মালিক হয়, সে পছন্দ করবে তার জন্য দ্বিতীয়টি হোক। যদি তার দু’টি উপত্যকা হয়, সে চাইবে তার জন্য তৃতীয়টি হোক। মাটি ব্যতীত কোন বস্তু বনি আদমের উদর পূর্ণ করবে না, অতঃপর যে তওবা করে আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন।
সুতরাং নবীজি (সা) যদি চাইতেন যে উনার ভাবনা কেউ না জানুক তাহলে উনি কখনই নিজেকে নবী দাবী করতেন না বরং সবাইকে বলতেন কুরআনের কথা কাউকেই জানিও না এবং আমি যে নবী এটাও কাউকে জানিও না। এরকম বলেন নাই কেন?
সুতরাং নাস্তিকদের এই মিথ্যাচারটিও দাফনের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল আফসোস।
❌অভিযোগ ৩/ কনট্রোল অফ ফিলিংসঃএই ধরনের মানসিক রোগীরা ভাবে, সে যা করছে বা ভাবছে, এগুলো বুঝি অন্য কেউ নিয়ন্ত্রন করছে। মুহাম্মদ ও ভাবত, আল্লাহ বুঝি তাকে নিয়ন্ত্রন করছে।
✅জবাবঃ ১ ও ২ নং ভ্রান্ত অভিযোগ যেহেতু ভুল এবং মিথ্যা প্রমান হয়েছে সেহেতু ৩ নং অভিযোগ অটোম্যাটিক এমনেই গলদ।তারপরেও সহজে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
ধরুন আপনি আপনার শিক্ষকের থেকে অনেক মানবতা,নৈতিকতা,সততা শিখলেন এবং আপনি আপনার শিক্ষককে অনেক অনেক ভালবাসেন। আপনার শিক্ষক আপনাকে উপদেশ দিল যে আপনি যেখানেই থাকেন না কেন অবশ্যই শিক্ষকের দেয়া এসব নৈতিকতা আপনি মেনে চলবেন,করবেন অনুভব।এখন ধরুন আপনি কোথাও বেড়াতে গেলেন।সেখানে যেয়েও আপনার শিক্ষককে আপনি খুবই মিস করছেন।আপনি ভাবছেন আপনার শিক্ষকের দেয়া উপদেশ আপনার পাশেই আছে,মনে হচ্ছে যেন আপনাকে সেই মানবতা নৈতিকতা সততাই নিয়ন্ত্রণ করছে আর আরও ভাবলেন আপনার শিক্ষকই আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং এই ভালবাসা আপনি অনুভব করছেন।আচ্ছা এই যে নিয়ন্ত্রণের অনুভুতি,এর কারনে কি আপনি স্রিজোফ্রিনিয়া রোগী হয়ে যাবেন নাকি একজন আদর্শ শিক্ষকের উত্তম ছাত্র হবেন,বিবেক কি বলে?একইভাবে নবীজি (সা)কে আল্লাহ একটি দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন,সত্যের দাওয়াত এবং নবীজি (সা) যেহেতু আল্লাহকে ভালবাসেন তাই সেই ভালবাসা থেকে যদি এটা তিনি ভাবেন যে আল্লাহ উনাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন তাহলে সেটা কেন রোগ হবে? বরং সবারই এই চিন্তা থাকা উচিৎ যে আল্লাহ ক্ষমতাশীল আমাদেরকে একদিন জবাব দিতে হবে কারন আমাদের আমলনামা সবই আল্লাহ জানেন। এই চিন্তা মনে থাকলে অপরাধ কমে যাবে কিন্তু নাস্তিক্যধর্মের অন্ধবিশ্বাসীরা এমন নৈতিকতা বুঝারও যোগ্যতা রাখে না।
ধরুন কেউ যদি বলে তাকে মানবতা নিয়ন্ত্রন করছে, নৈতিকতা নিয়ন্ত্রন করছে,সততা নিয়ন্ত্রন করছে তাহলে এরকম অদৃশ্য মানবিক চিন্তা করা কি মানুষিক রোগের লক্ষণ নাস্তিকদের যুক্তিতে?
ইস! মিথ্যুক নাস্তিকদের এই জালিয়াতিটিও রক্ষা পেল না। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
❌অভিযোগ ৪/ মুহাম্মদ ছিলেন একজন অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার এ আক্রান্ত মানসিক রোগী: এই ধরনের রোগীরা নিজস্ব মানসিক প্রশান্তি লাভের উদ্দেশ্যে একই কাজের পুনরাবৃত্তি করে।যেমন তারা হাত পরিস্কার থাকা স্বত্বেও মনে করে হাতে ময়লা লেগে আছে, এই ভেবে সে বারবার হাত ধুতেই থাকে। মুহাম্মদও কাল্পনিক আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় একই দিনে বারবার নামাজ পড়তেই থাকতেন, হাত পরিস্কার থাকা স্বত্বেও বারবার অজু করতেন। তিনি তার উম্মতদেরও ওসিডি এর রোগী বানিয়ে রেখে গিয়েছেন।তিনি তার উম্মতদেরকে কমপক্ষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার এবং কমপক্ষে পাঁচ বার অজু করার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন।মুহাম্মদের উম্মতরা সেটাই করে যাচ্ছে এবং মানসিক রোগীতে পরিনত হচ্ছে। এছাড়া ও আমরা সহিহ বুখারি শরিফ থেকে জানতে পারি, মুহাম্মদ কাউকে সম্ভাসন জানানোর সময় তিনবার সালাম দিতেন এবং একই বাক্য পুনরাবৃত্তি করতেন।
✅জবাবঃ নামাজ আর ওজুর মত ভাল কাজটি নিয়েও মিথ্যাচার করতে ত্রুটি করেনি অন্ধবিশ্বাসী নাস্তিকরা। হাত,মুখ,নাক,মাথা,পা ইত্যাদি ধৌত করাকে ওজু বলে। আমরা জানি ওজু করলে পরিস্কার থাকা যায় ময়লা আবর্জনা থেকেও মিলে মুক্তি।এটা কি খারাপ? উত্তর হচ্ছে না।একজন মানুষ যদি নামাজের আগে ওজু করে তাহলে যারা নামাজ আদায় করে না তাদের থেকে কত পরিস্কার থাকতে পারে ভাবতে পারেন? নামাজ এটা মেডিটেশন এর মত আবার এটা ইয়োগা ব্যায়ামেরও মত।একজন শিক্ষক যদি রেগুলার মেডিটেশন অথবা ইয়োগা ব্যায়াম করে এবং বেশি বেশি পরিস্কার থাকার জন্য হাত মুখ ধৌত করে এবং ছাত্রদেরকে করতে বলে তারমানে কি তারা সবাই অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার এ আক্রান্ত মানসিক রোগী? নবীজি (সা) নিজে পরিস্কার পবিত্র থাকাকে ভালবাসতেন এবং উনার সাহাবীদেরকে তাই করতে বলেছেন এটা বিন্দুমাত্র মানুষিক রোগ হতেই পারে না বরং একজন আদর্শ নেতারই বৈশিষ্ট হতে পারে।
ভাল কাজ বেশি করা নাস্তিকদের কাছে মানুষিক রোগ হতে পারে কিন্তু আমাদের মত যারা সভ্য এবং প্রগতিশীল তাদের কাছে সেটাই মানবিক এবং প্রত্যেক মানবতাবাদী মানুষের বেশি করে ভাল কাজ করা উচিৎ। কেউ যদি প্রতিদিন ৫ বার করে ১৫ মিনিট ইয়োগা ব্যায়াম ও মেডিটেশন করে এবং মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য যদি হাল্কা হাত পা ধুয়ে নেয় তাহলে এটা করা কি মানুষিক রোগে আক্রান্তের লক্ষণ নাকি একজন সুস্থ ফিট মানুষের সুস্থ থাকার লক্ষণ? দুনিয়ার কোন সুস্থ ডাক্তার বলবে এই লোক মানুষিক রোগী?
U.S. Department of Health and Human Services এর জার্নালে বলা হয়েছে, "...বেশিরভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি যাদের OCD রয়েছে শনাক্ত করতে পারে যে, তারা যা করছে তা অনর্থক..." "...most adults with OCD recognize that what they are doing doesn’t make sense..
সূত্রঃ https://www.nimh.nih.gov/health/topics/obsessive-compulsive-disorder-ocd/index.shtml
নামাজ ও ওযু কোনো অনর্থক কার্য নয়। এর তাৎপর্য মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তাঁর উম্মাত ভালভাবেই জানে যে, ওযু হল স্বলাত বা, নামাজ কবুলের পূর্বশর্ত এবং গোনাহ মোচনেরও উপায়।নবীজি (সা) এর কোন কাজই অনর্থক ছিল না বরং সব কিছুরই উদ্দেশ্য ছিল। যদি নবীজি (সা) বলতেন ওজু এবং নামাজের কোন কারণ নেই তাহলে নাস্তিদকের মিথ্যা অভিযোগটি হয়ত সত্য হয়ে যেত কিন্তু এরকম কিছুই নবীজি (সা) কখনই দাবী করেন নাই তাই নাস্তিকদের মিথ্যাচারের ইন্তেকাল হয়ে গেল।ইস!
মুসলিমদের নামাজ নিয়ে গবেষণা করার পর Journal of Physical Therapy Science এর একটি গবেষণাপত্রে ইসলামিক স্বলাত বা নামাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, "Studies on the benefits of ‘salat’ have revealed that it improves not only spiritual well-being but also mental and physical health, improving muscle strength, joint mobility and blood circulation, when performed correctly and with the right postures...."
অর্থাৎঃ নামাজ এটি কেবল আধ্যাত্মিক সুস্থতাই নয়, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে, পেশীর শক্তি, যৌথ গতিশীলতা এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে যখন সঠিকভাবে সম্পাদন করা হয় এবং সঠিক ভঙ্গি দিয়ে।
*সুত্রঃ https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3885840/
OCD-তে আক্রান্ত রোগীরা দিনে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় নেয় তাদের সেই পুনরাবৃত্ত কাজটিকে বার বার করার জন্য। U.S. Department of Health and Human Services জার্নালে এই সম্পর্কে বলা হয়েছে, "Spends at least 1 hour a day on these thoughts or behaviors..
*সুত্রঃ https://www.nimh.nih.gov/health/topics/obsessive-compulsive-disorder-ocd/index.shtml
Mayo Foundation for Medical Education and Research (MFMER) এর ভাষ্যমতে OCD তে আক্রান্ত রোগীদের হাত ধুতে ধুতে হাতের চামড়া raw হয়ে যায় (অর্থাৎ হাত বার বার ধুতে ধুতে চামড়া উঠে যাওয়ার মত এবং কাঁচা চামড়া বেরিয়ে আসার মত অবস্থা তৈরি হয়): "Hand-washing until your skin becomes raw.."
*সুত্রঃ https://www.mayoclinic.org/diseases-conditions/obsessive-compulsive-disorder/symptoms-causes/syc-20354432
নবীজি (সা) কি ওজু করতে করতে ঘণ্টাখানিক সময় নিতেন? উনি কি ওজু করতে করতে হাত ক্ষয় করে ফেলেছিলেন? অথবা কোন নামাজী মুসলিম কি কখন ওজু করতে করতে হাত পা মুখ ঘার সব ক্ষয় করে ফেলেছে? আমার বুদ্ধিমান পাঠক আশা করি নাস্তিকদের প্রতারণা আপনারা নিজেরাই ধরতে সফল হয়েছে?
দিনে অন্তত ছয় থেকে দশবার হাত ধুলে করোনাভাইরাসের মত জীবাণুর সংক্রমণ কমানো সম্ভব বলে ব্রিটেনের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে।
*সূত্রঃ https://www.bbc.com/bengali/news-52740128
করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ডাক্তাররা কয়েক মিনিট পর পরেই আমাদের সাবান দিয়ে হাত ধুতে বলেছেন এবং পরিস্কার থাকতে বলেছেন।তাহলে ডাক্তাররা কি সবাই স্রিজফ্রিনিয়া রোগী এখন?
নাস্তিদের কুযুক্তি অনুযায়ী মুসলিমরা নামাজের আগে ওজু করে ফ্রেশ হলে যদি মানুষিক রোগী হয় তাহলে অদৃশ্য করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য ডাক্তাররা বেশি বেশি হাত মুখ ধুতে বলার কারনে দুনিয়ার সব ডাক্তাররাই মানুষিক রোগী হয়ে যাবে?আমার মনে হয় নাস্তিকরা মদ গাজা নিয়ে বিজি থাকে তাই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ওদের পছন্দ না! কোন ডিসিপ্লিন ওয়ালা মানুষ কখনই নামাজ এবং ওজুকে খারাপ দাবী করতেই পারে না। আচ্ছা সেনাবাহিনীদের জীবন কি নাস্তিকদের যুক্তিতে স্রিজোফ্রিনিয়া রোগে আক্রান্ত? কারণ তারা সকালে উঠে দৌড়াদৌড়ি করে,ব্যায়াম করে,দেশ নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করে,সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতেই হয়,সব সময় এমনকি মাক্সিমাম টাইম একই পশাকে থাকতে হয়,কখন খেতে হবে কখন রেস্ট করতে হবে সবকিছুই রেগুলার করে তাহলে এসব কি সব মানুষিক রোগের লক্ষণ? কারণ সেনাবাহিনীরা একই কাজ বার বার করছে,দেশ নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করে, মাঠে সবাইকে নিয়ে দেশ প্রেমের স্লোগানের পুনরাবৃত্তি করা হয়,জাতীয় সংগীত প্রতি সকালে গাওয়া হয় নাস্তিকরা কি এখন এই কুযুক্তি দিবে? হ্যাঁ সেনাবাহিনী বিদ্বেষী কোন নাস্তিক থাকলে সে এই ধরনের গাঁজাখোর যুক্তি দিতে পারে।
পুনরাবৃত্তি করলেই যদি অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার এ আক্রান্ত হয় তাহলে আমি বলব সমস্ত নাস্তিকরাই এই রোগে আক্রান্ত কারন নাস্তিকদের সমস্ত জালিয়াতির জবাব হাজার বার দেওয়ার পরেও ইসলাম বিষয় সেই একই মিথ্যাচার বার বার পুনরাবৃত্তি করে বলে, তাহলে সমস্ত নাস্তিকরাই এই রোগে আক্রান্ত।নাস্তিকরা এসব মিথ্যাচার পুনরাবৃত্তি করে নিজেদেরকে সান্ত্বনা দেয় কারন আমার মত যুক্তিবাদী লেখকরা যখন ওদের মিথ্যাচারকে নাস্তানাবুদ করে তখন নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কিছু তো লাগবে তাই না!
Ihadis.com,শামায়েলে তিরমিযি,হাদিসঃ১৯৫,সহিহ হাদিসঃ মুগীরা ইবনে শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতেন যে, তাঁর পা ফুলে যেত। তাকে বলা হলো, আপনি এত কষ্ট করছেন অথচ আল্লাহ তা’আলা আপনার পূর্বাপর সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। তিনি বললেন, আমি কি শোকরিয়া আদায়কারী বান্দা হব না ?
নবীজি (সা) যদি মিথ্যাবাদী হতেন তাহলে এতো কষ্ট কেন করতেন? উনি তো নিজের জন্য আরাম সিস্টেম বানাতে পারতেন ইচ্ছা করলে? এমন করেন নাই কেন? উনি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং চরিত্রবান একজন মানুষ ছিলেন তাহলে এমনটি কেন করতেন?
আরজ আলী গাধাব্বর থুক্কু মাতাব্বর টাইপ নাস্তিকরা হয়ত জীবনে স্কুলে পড়াশোনা করে নাই এই কারনে এই ধরনের অভিযোগ করেছে।আমি এই অভিযোগ পড়ে হেসেছি।যারা স্কুলে পড়েছেন তারা জানেন যে পড়া মুখস্ত করার জন্য শিক্ষক একটি কথা বার বার পুনরাবৃত্তি করে বলতে বলতেন।এখন কি এই দুনিয়ার সব শিক্ষক নাস্তিকদের যুক্তিতে স্রিজোফ্রিনিয়া রোগী?আমরা ছোটবেলায় কবিতা মুখস্ত করতাম এবং একই কবিতা বার বার পুনরাবৃত্তি করতাম তারমানে আমরা ছোটবেলা থেকেই মানুষিক রোগী?ভার্সিটিতে অথবা অনুষ্ঠানে অনেক সময় প্রেজেন্টেশন দেওয়ার জন্য আগে থেকেই লেকচার মুখস্ত করতে হয় এবং একা রুমে প্র্যাকটিস করতে হয় এবং লেকচার শিটের গুরুত্বপূর্ণ কথা মনে রাখার জন্য একই কথা পুনরাবৃত্তি করতে হয় তারমানে নাস্তিকদের যুক্তিতে এসব মানুষিক রোগ?এই হচ্ছে মুক্তমনা নাস্তিকদের যুক্তির অবস্থা?হাস্যকর সমকামী নাস্তিকদের যুক্তি। হাসতে হাসতে আমি অজ্ঞান হয়ে যাব এদের যুক্তির মাতলামি পড়ে!এভাবে মানুষেকে বোকা বানানো কবে বন্ধ করবে বান্দরমনারা?
আসলে একটি কথার গুরুত্ব বা মর্যাদা বুঝাতে নবীজি (সা) কথার পুনরাবৃত করতেন। এটা অবশ্যই সাধারন বিষয়।
Ihadis.com,সহিহ বুখারি,হাদিসঃ৬২৪৪,সহিহ হাদিসঃ আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ যে ,নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন সালাম করতেন , তখন তিনবার সালাম দিতেনএবং যখন কথা বলতেন তখন তিনবার তার পুনরাবৃত্তি করতেন।
Ihadis.com, ১০০ সুসাব্যস্ত হাদিস,হাদিসঃ৮৮,সহি হাদিসঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ এক ব্যক্তি নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললো, আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেন, “রাগ করো না।” সে কয়েকবার একই কথার পুনরাবৃত্তি করলো। আর তিনি বললেন, “রাগ করো না।
খেয়াল করুন সালাম শব্দের পুরো অর্থ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। এই কথা কি ৩ বার বলা কি অপরাধ? একজন মানুষ আরেকজন মানুষের ৩ বার শান্তি কামনা করছে এটা যদি অপরাধ হয় তাহলে নাস্তিকরা নিজেদেরকে মানবিক মানবিক বলে যে চিল্লায় সেটা আগে মানুষিক রোগ হিসেবে ঘোষণা দেয়া দরকার নাস্তিকদের? নবীজি (সা) উনার সাহাবীদেরকে কত সুন্দর উপদেশ দিতেন যে রাগ করো না,রাগ করো না,রাগ করো না।এভাবে বলা কেন অন্যায় হবে?এটা কিভাবে মানুষিক রোগ হয়? যদি ক্লাসের একজন শিক্ষক উনার ছাত্রদেরকে বলে সব সময় মানুষের সেবা করবে এবং এই উপদেশ ছাত্রদের দিলে গেঁথে দেওয়ার জন্য যদি সবাইকে বলে আমার সাথে এই নৈতিকতা ৫০ বার উচ্চারন করো তাহলে কি সেটা মানুষিক রোগ হবে ? আসলে নাস্তিকরাই মানুষিক রোগী নাহলে এমন মিথ্যাচার কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ করতে পারে?
অনেক সময় শপথ বাক্য বার বার পুনরাবৃত্তি করে পাঠ করা হয় তারমানে পুনরাবৃত্তি করলেই মানুষিক রোগী হবে? না । কারণ শপথ বাক্যের মর্যাদা যেন দিলে অনুভব করা যায় এই কারনে পুনরাবৃত্তি করা হয়।নবীজি (সা) কেন কিছু কিছু কথা পুনরাবৃত্তি তথা তিনবার বলবেন সেটাও বলেছেন অথচ অন্ধবিশ্বাসী নাস্তিকরা সেই হাদিসটি দেখায় না।
ihadis.com,শামায়েলে তিরমিযি,হাদিসঃ১৬৫,১৬৬,সহিহ হাদিসঃ আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন কথা তিনবার বলতেন, যাতে (শ্রোতারা) ভালোভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে পারে।
আফসোস!নাস্তিকদেরর এই জালিয়াতি এমনভাবে সমুদ্রে ডুবে গেছে যে সাবমেরিন দিয়েও আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
❌অভিযোগ ৫/ মুহাম্মদ ছিলেন এপিলেপ্সিতে আক্রান্ত রোগী::এই রোগে আক্রান্ত রোগীর চারটে ফেজ থাকে।১। অরা ফেজ: এই ফেজ এ অ্যাবনরমাল সেন্সেসন বা হ্যালুসিনেসন হয়।>যখন প্রথম বার হেরা গুহায় নবীজির কাছে জিব্রাইল এসেছিলেন, তখন মুহাম্মদ জিব্রাইলকে দেখতেই পেয়েছিলেন,এরপর মুহাম্মদের সমগ্র শরীর কাঁপতে থাকে এবং জ্বর এসে যায়। এর কিছুক্ষন পর তিনি সুস্থ অনুভব করেন। এরপর থেকে যখনই জিব্রাইল ওহি নিয়ে আসতেন, তখন মুহাম্মদ প্রথমে ঘণ্টার শব্দ শুনতে পেতেন[অরা] ২।টনিক স্টেজ:এই স্টেজ এ হাত পা শক্ত হয়ে যায়।>তার আশেপাশে যারা থাকতেন,তাদের বর্ণনা মতে, মুহাম্মদ এক স্থানে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে যেতেন এবং তার চেহারার বর্ণ পরিবরতন হয়ে যেত [টনিক স্টেজ] ৩।ক্লনিক স্টেজ:এই স্টেজ এ রোগীর হাত পা কাঁপতে থাকে।>এরপর মুহাম্মদের হাত,পা, ঠোঁট কাঁপতে থাকতো এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যেতেন[ক্লনিক স্টেজ] ৪।পোস্টইকটাল স্টেজ বা রিকভারি স্টেজ। কিছুক্ষন পর তিনি আবার সুস্থ অনুভব করতেন৷(রিকভারি স্টেজ)
✅জবাবঃ গোঁজামিল, মিথ্যাচার আর চুরি করা কেউ নাস্তিকদের থেকে শিখুক! মূর্খ অভিযোগদাতা যেই গোঁজামিল দিয়ে নবীজি (সা)কে এপিলেপ্সি রোগী দাবী করলেন সেটা সম্পূর্ণই ভ্রান্ত এবং দিন দুপুরে চুরি করার মত ব্যাপার। একটি জালিয়াতি ধরিয়ে দেই তাহলে সব গুলো খণ্ডন হয়ে যাবে। যারা এপিলেপ্সি রোগী হয় তারা কাঁপতে কাঁপতে অজ্ঞান হয়ে যায় এবং এই অবস্থায় অনেকক্ষন অতিবাহিত হয়ে যায় কিন্তু নবীজি (সা) এর কাছে যখন জিব্রাইল (আ) এসেছিলেন তখন তিনি কি নবিজি (সা) কাঁপতে কাঁপতে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন? তিনি নিজে কিন্তু হেটে খাদিজা (রা) এর কাছে চলে আসেন এবং উনাকে বলেন আমাকে কম্বল দিয়ে জড়িয়ে ধরো।নবীজি (সা)এর শরীর তখন কাঁপেন নাই বরং উনার অন্তর কাঁপছিল তারপরেও ধরে নিলাম উনার শরির কাঁপছিল কিন্তু উনি কি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন? উত্তর হচ্ছে না।তাহলে প্রথম কারণই যেখানে ভুল প্রমান হয়ে গেল অভিযোগ দাতা বাকি গুলো এমনেই গলদ।
এপিলেপ্সি রোগীদের একটি বড় লক্ষণ বার বার অজ্ঞান হয়ে যাবে কাঁপতে কাঁপতে।নবীজি (সা) উনার পুরো জীবনে কয়বার খিঁচুনি দিয়ে কাঁপতে কাঁপতে অজ্ঞান হয়েছিলেন? উনার হাত পা জীবনে কয়বার শক্ত হয়ে গিয়েছিল? ১০০ বার ? ২০০ বার? ৫০০ বার? ১০০০ বার? ৫ বার ? ৪ বার? ৩ বার? ১বার ? একবার হলেই কি কেউ মৃগী হয়ে যাবে? ধরুন আপনি হটাত জানতে পারলেন আপনার বাবা মারা গিয়েছে এটা শুনে আপনি সহ্য করতে না পেরে একটি কাঁপুনি দিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলেন এরমানে কি আপনি মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে গেলেন?
নসরুলবারী শরহে সহিহ বুখারী,বাংলা, ১ খণ্ড, ১৬৫ পৃষ্ঠাঃ তারপর এসব আয়াত নিয়ে রাসুল (সা) ফিরে এলেন। তাঁর অন্তর তখন কাঁপছিলেন, তিনি খাদিজা বিনতে খুয়াইলদের কাছে এসে বললেন আমাকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দাও,আমাকে কবল দিয়ে ঢেকে দাও। তারা তাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দিলেন। অর্থাৎ নবীজি (সা) এর পুরো দেহ কাঁপেনি বরং শুধু উনার অন্তর কাঁপছিল। - সহিহ মুসলিম,হাদিসঃ২৯৫, সীরাতে বিশ্বকোষ, ৪ খণ্ড, ৪৪৯,৪৭২ পৃষ্ঠা, আবু আহমাদ সাইফুদ্দিন বেলাল লিখিত “সীরাতুল হাবিব” ২৯ পৃষ্ঠা,আসাদুল্লাহ আল গালিব লিখিত “সীরাতুল রাসুল (সা)” ৮৪ পৃষ্ঠা।
তাহলে দেখা যাচ্ছে নবীজি (সা) জিব্রাইল (আ) কে হটাত দেখে ভয় পেয়ে যান এবং উনি হেরা গুহা থেকে বাসায় আসলে সবাই দেখে উনার অন্তর কাঁপছিল।স্বাভাবিক ভাবেই আমরা যখন বেশি ভয় পাই তখন আমাদের হার্টবিট বেড়ে যায়। অথচ মিথ্যুক নাস্তিকরা অভিযোগ করেছে নবীজি (সা)এর নাকি শরীর কাঁপছিল এটা ডাহা মিথ্যাচার। যুক্তির খাতিরে যদি ধরেও নেই উনার শরীর কাঁপছিল তাহলে প্রশ্ন আসে উনি কি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন? এবং উনার পুরো জীবনে এসব কি বার বার হয়েছিল?
মৃগী রোগ কি: মৃগী স্নায়ুতন্ত্রের জটিলতাজনিত একটি রোগ। সুস্থ স্বাভাবিক একজন ব্যক্তি যদি হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে কাঁপুনি বা খিঁচুনির শিকার হয়, চোখ-মুখ উল্টিয়ে ফেলে কিংবা কোনো শিশুর চোখের পাতা স্থির হয়ে যায়, এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে অথবা মানসিকভাবে সুস্থ কোনো ব্যক্তি যদি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে তবে তাকে মৃগী রোগী হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। মানবদেহের সমস্ত কার্যাবলি পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে। কোনো কারণে মানবদেহের কার্য পরিচালনাকারী মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপক ও নিবৃত্তিকারক অংশদ্বয়ের কার্যপ্রণালির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে মৃগী রোগের লক্ষণসমূহ দেখা দিতে পারে। মস্তিষ্কের অতি সংবেদনশীলতা ছাড়াও ব্রেইন টিউমার, স্ট্রোক, মাথায় আঘাত ও রক্তপাত, রক্তশিরায় সমস্যা, ব্রেইনের পুরনো ক্ষত, ইনফেকশন এবং মানসিক প্রতিবন্ধকতা থেকেও মৃগী রোগ দেখা দিতে পারে। মৃগী রোগের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বারবার খিঁচুনি ও এর উপসর্গে আক্রান্ত হওয়া। - অধ্যাপক ডা. এম এস জহিরুল হক চৌধুরী ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতাল, ঢাকা।
*সুত্রঃhttps://www.bd-pratidin.com/health/2020/02/23/504611
একজন মৃগীরোগীর হঠাৎ মারাত্মক উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন শরীর শক্ত বা টান টান হয়ে হঠাৎ অচেতন অবস্থা, শিথিল হয়ে ঢলে পড়া, শরীরের কোনো অংশে খিঁচুনি ও পর্যায়ক্রমে সারা শরীরে তা ছড়িয়ে পড়া, হঠাৎ অস্বাভাবিক আচরণ এবং হাত, পা ও মুখের অস্বাভাবিক নড়াচড়া ইত্যাদি। সাধারণত খিঁচুনি থামার পর দীর্ঘ সময় রোগীর চেতনা থাকে না। খিঁচুনির সময় দাঁতে জিব কাটা বা প্রস্রাব বা মলত্যাগের মতো ঘটনাও হতে পারে।
*সুত্রঃ পত্রিকা “প্রথম আলো” ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ । শিরোনামঃ হঠাৎ খিঁচুনিতে আতঙ্ক নয়।
নবীজি (সা)এর কাছে যখন জিব্রাইল (আ)আসতেন তখন কি উনি কাঁপতে থাকতেন?অজ্ঞান হয়ে যেতেন? নবীজি (সা)এর চোখ মুখ কি উল্টিয়ে যেত?নবীজির (সা) এর কি ব্রেন টিউমার ছিল? জীবনে স্টোক করেছিলেন কয়বার?মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন? নবীজী (সা) কি রক্তশিরায় সমস্যা ছিল?ব্রেইনে পুরোনো ক্ষত ছিল? কোন ইনফেকশন ছিল? কোন মানসিক প্রতিবন্ধকতা ছিল? নবীজি (সা) যখন হেরা গুহা থেকে বাসায় এসে খাদিজা (রা)কে বিস্তারিত বলেন তখন খাদিজা (রা)কে বলেছিলেন আপনি তো আত্মীয়তার বন্ধন জুড়ে রাখেন, সত্যকথা বলেন, অনাথ অক্ষমদের বোঝা বহন করেন, মেহমানদের মেহমানদারী করেন এবং হকের পথে আগত যাবতীয় বিপদে সাহায্য করেন। তারমানে নবীজি (সা) আগেও যেমন সাধারন ছিলন ওহী নাজিলের পরেও স্বাভাবিকই ছিলেন শুধু পার্থক্য এতটুকু যে উনার অন্তর কাঁপছিল এবং উনি ভয় পেয়ে যান ফলে উনাকে কম্বল দিয়ে ডেকে দেন।
তাহলে গণ্ডমূর্খ,হিংসুক,মিথ্যাবাদী,ধোঁকাবাজ,প্রতারক নাস্তিকরা কেন ভ্রান্ত দাবী করে যে নবীজি (সা) স্রিজোফ্রিনিয়া রোগী ছিলেন? নবীজি (সা) কি হাত পা ও মুখের অস্বাভাবিক নাড়াচাড়া করতেন? যখন কুরআন এর আয়াত নাজিল হত তখন উনি দ্রুত মুখস্ত করতে চাইতেন তখন মুখ নাড়াচাড়া বেশি করতেন কিন্তু হাত পা কি নাড়াচাড়া করতেন? আরও মজার কথা হলো পরবর্তীতে যখন আয়াত নাজিল হতো তখন উনি রিলেক্স থাকতেন এবং মুখস্ত করার চেষ্টাও করতেন না কারন আল্লাহ উনাকে নিষেধ করে দেন।
নসরুল বারী শরহে সহিহ আল বুখারী,বাংলা,১ খণ্ড, ১৯১ পৃষ্ঠাঃশুরুতে যখন হযরত জিব্রাইল (আ) ওহীয়ে ইলাহী তথা কুরআন মাজীদ নিয়ে আসতেন,তখন হযরত জিব্রাইল (আ) পড়ার সাথে সাথে রাসুল (সা) মুখস্তের প্রতি লক্ষ্য করে দ্রুত পুনরাবৃত্তির চেষ্টা করতেন।যাতে ভুলে না যান।কিন্তু পদ্ধতি নবীজি (সা)এর ভীষণ কষ্ট হত।একতো স্বয়ং ওহীয়ে ইলাহীর কষ্টকর।দ্বিতীয়ত,ইয়াদ করা ও জবান মুবারক নাড়াচাড়ার কষ্ট,তৃতীয়ত,অর্থের প্রতি গভীরভাবে লক্ষ করার কষ্ট।এসব কষ্ট হত।এ জন্য আল্লাহ তা’লা আয়াত নাযিল করেন।অর্থাৎ আপনি এ সময় পাঠ ও জবান নাড়াচাড়া করার চেষ্টা করবেন না বরং আপনি গভীর মনোযোগ সহকারে শুনুন,এ কুরআন আমার কালাম।আমি যে উদ্দেশ্যে এ কুরআন অবতীর্ণ করছি তা সম্পূর্ণ করা আমার দায়িত্ব।এ জন্য অবতীর্ণ ওহীকে প্রশান্তভাবে শুনুন তা মুখস্ত করার জন্য আপনি চিন্তা করবেন না।
সুরা কিয়ামাহ ৭৫:১৬,১৭,১৮,১৯ = তাড়াতাড়ি শিখে নেয়ার জন্যে আপনি দ্রুত ওহী আবৃত্তি করবেন না। এর সংরক্ষণ ও পাঠ আমারই দায়িত্ব। অতঃপর আমি যখন তা পাঠ করি, তখন আপনি সেই পাঠের অনুসরণ করুন। এরপর বিশদ বর্ণনা আমারই দায়িত্ব। - আয়াতের প্রেক্ষাপট জানতে ihadis.com,সহিহ বুখারী,হাদিসঃ৪৯২৭,৪৯২৮,৪৯২৯,সহিহ হাদিস।
নসরুল বারী শরহে সহিহ আল বুখারী,বাংলা,১ খণ্ড,১৮৯-১৯০ পৃষ্ঠাঃযখন রাসুল (সা)এর কাছে জিব্রাইল (আ) আসতেন তখন তিনি মনোযোগ সহকারে কেবল শুনতেন।জিব্রাইল (আ) চলে গেলে যেমন পড়েছিলেন রাসুল (সা)-ও ঠিক তেমনই পড়তেন।
এখন কিভাবে গোঁজামিল দিবে নাস্তিকরা?কিভাবে ভুল ব্যাখ্যা দিবে?কিভাবে ধোঁকা দিবে? কোথাও কি এটা বলা হচ্ছে উনি হাত পা মুখ অস্বাভাবিক নাড়াচাড়া করতেন? অথবা কাঁপতেন?
মৃগী রোগ সম্পর্কে কিছু হাদিস আছে যেখানে আক্রান্ত রোগীর জন্য নবীজি (সা) নিজে দোয়া করেছেন। ihadis.com,সহিহ বুখারী,হাদিসঃ৫৬৫২/সহিহ মুসলিম,হাদিসঃ৬৪৬৫/ রিয়াদুস সলেহিন,হাদিসঃ৩৬/আদাবুল মুফরাদ,হাদিসঃ৫০৭/হাদিস সম্ভার,হাদিসঃ১২৩৭/মিশকাতুল মাহাবিহ,হাদিসঃ১৫৭৭/আল লু’লু ওয়াল মারজান,হাদিসঃ১৬৬৫।
নবীজি (সা) এর যদি এপিলেপ্সি বা মৃগী রোগে আক্রান্ত থাকতো তাহলে উনার সাহাবীরা সেই দাবী করতেন অথবা নবীজি (সা) নিজেও সেটা দাবী করতেন।উনারা যদি দাবী নাও করতেন তাহলে ইসলাম বিদ্বেষী কাফেররা তো সেই দাবী অবশ্যই করতো কিন্তু এরকম তথ্য কেউই দেয় নাই।কেন? উত্তর হচ্ছে নবীজি (সা) এপিলেপ্সি বা মৃগী রোগে আক্রান্তই ছিলেন না। এটাই চুরান্ত সত্য কথা।
ডাক্তার মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান যিনি একজন নিউরোলজিস্ট এবং epilepsy এবং EEG এর ওপর একজন sub-specialist, তিনি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ওপর এপিলেপ্সির অপবাদকে চরম ভাবে নাস্তানাবুদ করেছেন। আগ্রহী পাঠকগণ সেই খণ্ডন জানার জন্য ভিডিওর আলোচনাটি দেখতে পারেন।
সুত্রঃ https://youtu.be/sejJCQYAvaI
রাস্তায় এমন অনেক গরীব মানুষ আছেন যেসব মানুষরা প্রচণ্ড শীতে অনেক সময় দেখবেন কাঁপতে কাঁপতে অজ্ঞান তো দূরের কথা মারাই যায়।তাহলে নাস্তিকরা কি বলবে এসব মানুষরা মৃগী রোগী ছিল?
ইসলাম নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে চুরি করেও নাস্তিকরা ধরা খায়!
❌অভিযোগ ৫/ অসংলগ্ন আচরণ করতেন নবীজি (সা)?জীবন এবং তার সংশ্লিষ্ট কাজের প্রতি উৎসাহ হারিয়ে ফেলা।মুড: মেজাজগত দিক থেকেও এরা থাকে উত্তেজিত, বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব এদের কোনকাজেই শান্তি পেতে দেয় না। ফলে মানসিক উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা বা অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে উঠতে দেখা যায় এদের। নবীজি (সা) কি এমন ছিলেন?
✅জবাবঃ মোটেও না। নবীজি (সা) কত চমৎকার ছিলেন নিচের দুটো হাদিস পড়ুন।
Ihadis.com, সুনানে আবু দাউদ, হাদিসঃ ৪৮৩৫, সহিহ হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন তাঁর কোন সাহাবীকে কোন কাজে প্রেরণ করতেন তখন তাকে নির্দেশ দিতেনঃ তোমরা লোকদেরকে সুসংবাদ দিবে, দূরে ঠেলে দিবে না, আর সহজ করবে, কঠিন করবে না।
Ihadis.com,শামায়েলে তিরমিযি,হাদিসঃ২৬৯,সহিহ হাদিসঃ হাসান ইবনে আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, হুসাইন ইবনে আলী (রাঃ) বলেছেন, আমি আমার পিতাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথীদের ব্যাপারে তাঁর আচরণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। উত্তরে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সদা হাস্যোজ্জোল ও বিনম্র স্বভবের অধিকারী। তিনি রূঢ়ভাষী বা কঠিন হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন না। তিনি উচ্চৈঃস্বরে কথা বলতেন না, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করতেন না, অপরের দোষ খোঁজে বেড়াতেন না এবং কৃপণ ছিলেন না। তিনি অপছন্দনীয় কথা হতে বিরত থাকতেন। তিনি কাউকে নিরাশ করতেন না, আবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতিও দিতেন না। তিনটি বিষয় থেকে তিনি দূরে থাকতেন— ঝগড়া-বিবাদ ও অহংকার করা এবং অযথা কথাবর্তা বলা। তিনটি কাজ হতে লোকদেরকে বিরত রাখতেন- কারো নিন্দা করতেন না, কাউকে অপবাদ দিতেন না এবং কারো দোষ-ত্রুটি তালাশ করতেন না। যে কথায় সওয়াব হয়, শুধু তাই বলতেন। তিনি যখন কথা বলতেন তখন উপস্থিত শ্রোতাদের মনোযোগ এমনভাবে আকর্ষণ করতেন, যেন তাদের মাথার উপর পাখি বসে আছে। তিনি কথা বলা শেষ করলে অন্যরা তাকে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা জিজ্ঞেস করতে পারত। তাঁর কথায় কেউ বাদানুবাদ করতেন না। কেউ কোন কথা বলা শুরু করলে তাঁর কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি চুপ থাকতেন। কেউ কোন কথায় হাসলে বা বিস্ময় প্রকাশ করলে তিনিও হাসতেন কিংবা বিস্ময় প্রকাশ করতেন। অপরিচিত ব্যক্তির দৃঢ় আচরণ কিংবা কঠোর উক্তি ধৈৰ্য্যের সঙ্গে সহ্য করতেন। কখনো কখনো সাহাবীগণ অপরিচিত লোক নিয়ে আসতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, কারো কোন প্রয়োজন দেখলে তা সামাধা করতে তোমরা সাহায্য করবে। কেউ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে তিনি চুপ করে থাকতেন। কেউ কথা বলতে থাকলে তাকে থামিয়ে দিয়ে নিজে কথা আরম্ভ করতেন না। অবশ্য কেউ অযথা কথা বলতে থাকলে তাকে নিষেধ করে দিতেন, অথবা মজলিস হতে উঠে যেতেন, যাতে বক্তার কথা বন্ধ হয়ে যায়।
❌অভিযোগ ৬/আচরণগত:এদের আচরণ হয় অদ্ভুত। এরা মনে করে সবাই এদের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত। তাই অনেক সময় এদের রাগ বা ভয় হয়ে ওঠে মাত্রাছাড়া। সমাজের কারোর সাথে যোগাযোগ রাখা এরা নিরাপদ বলে মনে করে না।
✅জবাবঃএসব রোগের লক্ষণের আচরণ নাস্তিকদের মধ্যে দেখা যায়।এরা মুসলিমদেরকে দেখলেই মনে করে মুসলিমরা নাস্তিকদেরকে হত্যা করবে এবং এদের রাগ বা ভয় হয়ে ওঠে মাত্রাছাড়া।যা সম্পূর্ণ গলদ ধারণা।সমাজের কারো সাথে এরা যোগাযোগ রাখা নিরাপদ মনে করে না এমনকি নিজের পিতামাতা সম্পর্কেও।এই কারনে দেখবেন মাক্সিমাম বঙ্গীয় নাস্তিক নিজের পিতামাতাকে ছেড়ে বিদেশ চলে যায় মিথ্যাচার করে।বৃদ্ধ বয়সে এরা নিজেদের পিতামাতাকে সেবা যত্ন তো দুরের থাক কল্পনাও করে না এতটাই অসভ্য এরা।
এসব কারন নবীজি (সা) এর মাঝে বিন্দুমাত্র ছিল না । তিনি তার অমুসলিম ইহুদী প্রতিবেশিদের প্রতিও যত্নশীল ছিলেন।এবং সবার সাথেই ভাল ব্যাবহার করতেন।
Ihadis.com,জামে আত তিরমিজি, হাদিসঃ ১৯৪৩, সহিহ হাদিসঃ মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ)-এর জন্য তার পরিবারে একটি ছাগল যবেহ করা হল। তিনি এসে বললেন, তোমরা কি আমাদের ইয়াহুদী প্রতিবেশীকে (গোশত) উপহার পাঠিয়েছ? আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ প্রতিবেশীর অধিকার প্রসঙ্গে জিবরাঈল (আঃ) আমাকে অবিরত উপদেশ দিতে থাকেন। এমনকি আমার ধারণা হল যে, হয়ত শীঘ্রই প্রতিবেশীকে উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিবে।
Ihadis.com,শামায়েলে তিরমিযি,হাদিসঃ২৬৪,সহিহ হাদিসঃ আমর ইবনে আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমাজের নিকৃষ্ট ব্যক্তির সাথেও পূর্ণ মনোযোগ ফিরিয়ে মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে কথা বলতেন। এমনকি আমার সঙ্গেও তিনি কথা বলতেন অনুরূপভাবে। তাতে আমার মনে হলো, আমি সমাজের উত্তম মানুষ। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ভালো, না আবু বকর ভালো? তিনি বললেন, আবু বকর! আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ভালো, না উমার ভালো? তিনি বললেন, উমার! আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, আমি ভালো না উসমান? তিনি বললেন, উসমান! আমি যখন বিস্তারিতভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলাম, তখন আমাকে সঠিক কথা বলে দিলেন। পরে আমি মনে মনে কামনা করলাম, যদি আমি তাকে এরূপ প্রশ্ন না করতাম।
Ihadis.com,শামায়েলে তিরমিযি,হাদিসঃ২৬৯,সহিহ হাদিসঃ হাসান ইবনে আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, হুসাইন ইবনে আলী (রাঃ) বলেছেন, আমি আমার পিতাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথীদের ব্যাপারে তাঁর আচরণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। উত্তরে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সদা হাস্যোজ্জোল ও বিনম্র স্বভবের অধিকারী। তিনি রূঢ়ভাষী বা কঠিন হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন না। তিনি উচ্চৈঃস্বরে কথা বলতেন না, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করতেন না, অপরের দোষ খোঁজে বেড়াতেন না এবং কৃপণ ছিলেন না। তিনি অপছন্দনীয় কথা হতে বিরত থাকতেন। তিনি কাউকে নিরাশ করতেন না, আবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতিও দিতেন না। তিনটি বিষয় থেকে তিনি দূরে থাকতেন— ঝগড়া-বিবাদ ও অহংকার করা এবং অযথা কথাবর্তা বলা। তিনটি কাজ হতে লোকদেরকে বিরত রাখতেন- কারো নিন্দা করতেন না, কাউকে অপবাদ দিতেন না এবং কারো দোষ-ত্রুটি তালাশ করতেন না। যে কথায় সওয়াব হয়, শুধু তাই বলতেন। তিনি যখন কথা বলতেন তখন উপস্থিত শ্রোতাদের মনোযোগ এমনভাবে আকর্ষণ করতেন, যেন তাদের মাথার উপর পাখি বসে আছে। তিনি কথা বলা শেষ করলে অন্যরা তাকে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা জিজ্ঞেস করতে পারত। তাঁর কথায় কেউ বাদানুবাদ করতেন না। কেউ কোন কথা বলা শুরু করলে তাঁর কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি চুপ থাকতেন। কেউ কোন কথায় হাসলে বা বিস্ময় প্রকাশ করলে তিনিও হাসতেন কিংবা বিস্ময় প্রকাশ করতেন। অপরিচিত ব্যক্তির দৃঢ় আচরণ কিংবা কঠোর উক্তি ধৈৰ্য্যের সঙ্গে সহ্য করতেন। কখনো কখনো সাহাবীগণ অপরিচিত লোক নিয়ে আসতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, কারো কোন প্রয়োজন দেখলে তা সামাধা করতে তোমরা সাহায্য করবে। কেউ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে তিনি চুপ করে থাকতেন। কেউ কথা বলতে থাকলে তাকে থামিয়ে দিয়ে নিজে কথা আরম্ভ করতেন না। অবশ্য কেউ অযথা কথা বলতে থাকলে তাকে নিষেধ করে দিতেন, অথবা মজলিস হতে উঠে যেতেন, যাতে বক্তার কথা বন্ধ হয়ে যায়।
❌অভিযোগ ৯/ ডিপ্রেশনে থাকতেন সব সময় হযরত মোহাম্মদ (সা) ?
✅জবাব: একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষও মাঝে মাঝে ডিপ্রেশনে ভুক্তে পারে এরমানে এই না যে সে স্রিজোফ্রিনিয়া রোগে আক্রান্ত বলতে হবে।ধরুন আপনার সামনের মাসে ফাইনাল এক্সাম।এখন আপনি এক্সামের আগে অবশই চিন্তিত হবেন,কিছুটা ডিপ্রেশনে ভুগবেন এক্সামের আগে সবার থেকে আলাদা হয়ে হয়তো একা একা বেশি পড়াশোনা করবেন,বন্দুদের সাথে কম মিশবেন। এসব ত সাধারন বিসয়। কিন্তু এরমানে কি আপনি স্রিজোফ্রিনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে যাবেন?উত্তর হচ্ছে না।অথবা ধরুন কোন এক গরীব বাবা যে উনার মেয়েকে বিয়ে দিবেন কিন্তু টাকার অভাবে বিয়ে দিতে পারছেন না এই কারনেও সে ডিপ্রেশনে ভুগতে পারেন। তারপর ধরুন আপনার চাকরি হচ্ছে না এটা নিয়েও আপনি ডিপ্রেশনে ভুগতে পারেন একা একা আরও প্রস্তুতি নিতে পারেন যেন চাকরি হয়ে যায় কিন্তু তারমানে এই না যে ডিপ্রেশনে থাকার জন্য বা একা একা থাকার জন্য তারা স্রিজোফিরনিয়া রোগী হয়ে যাবে।
অনেক সময় ডাক্তাররা রোগীদের অপারেশন করার আগে খুবি চিন্তিত থাকেন,অনেক সময় ডাক্তারদের কপাল দিয়ে ঘামও হয় এরমানে এই না যে ডাক্তাররাই স্রিজোফ্রিনিয়া রোগী।
একজন ডিপ্রেশন মানুষ কখনই প্রফুল্ল হাসিখুশি থাকতে পারে না। সবার সাথে ভাল আচরণ করতে পারে না কারন ডিপ্রেশনের কারনে আচরণ রুক্ষ হয়ে যায়। অথচ নবীজি (সা) সর্বদা হাসিখুশি উজ্জ্বল প্রফুল্ল থাকতেন।
Ihadis.com,জামে আত তিরমিজি,হাদিসঃ৩৬৪১,সহিহ হাদিসঃ আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস ইবনু জায্‌য়ি (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেয়ে বেশী মুচকি হাসি দিতে আমি আর কাউকে দেখিনি।
Ihadis.com,সহিহ বুখারি,হাদিসঃ৩১৪৯,সহিহ হাদিসঃ আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর সঙ্গে পথে চলছিলাম। তখন তিনি নাজরানে প্রস্তুত মোটা পাড়ের চাদর পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। এক বেদুঈন তাঁকে পেয়ে খুব জোরে টেনে দিল। অবশেষে আমি দেখলাম, জোরে টানার কারনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর স্কন্ধে চাদরের পাড়ের দাগ বসে গেছে। অতঃপর বেদুঈন বলল, ‘আল্লাহ্‌র যে সম্পদ আপনার নিকট আছে তা হতে আমাকে কিছু দেয়ার আদেশ দিন।’ আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিলেন, আর তাকে কিছু দেয়ার আদেশ দিলেন।
ihadis.com,শামায়েলে তিরমিজিতে “রাসুলুল্লাহ (সা) এর হাসি” “রাসুলুল্লাহ (সা) এর কৌতুক” এই নামে একটি অধ্যায়ই আছে পড়ে দেখতে পারেন।
❌অভিযোগ ১০/ অজ্ঞান হয়ে যেতেন বার বার?
✅জবাবঃ সহিহ বুখারি,হাদিসঃ৩৮২৯/সহিহ মুসলিম,হাদিসঃ৬৫৯,সহিহ হাদিসঃজাবির ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, যখন কা‘বা গৃহ পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছিল তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ‘আব্বাস (রাঃ) পাথর বয়ে আনছিলেন। ‘আব্বাস (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - কে বললেন, তোমার লুঙ্গিটি কাঁধের উপর রাখ, পাথরের ঘর্ষণ হতে তোমাকে রক্ষা করবে। (লুঙ্গি খুলতেই) তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন। তাঁর চোখ দু’টি আকাশের দিকে নিবিষ্ট ছিল। তাঁর চেতনা ফিরে এল, তখন তিনি বলতে লাগলেন, আমার লুঙ্গি, আমার লুঙ্গি। তৎক্ষণাৎ তাঁর লুঙ্গি পরিয়ে দেয়া হল।... যাবির (রাঃ) বলেন, সেদিনের পর থেকে আর কখনো তাঁকে উলঙ্গ দেখা যায়নি।
এই হাদিসে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে লুঙ্গি খুলে যাওয়ার কারনে উনি অজ্ঞান হয়ে যান।এরপরে আর উনি কি কখনো বিনা কারনে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন? এই সামান্য ছোটবেলার ঘটনার অজ্ঞান দিয়ে কিভাবে প্রমানিত হয় উনি স্রিজোফ্রিনিয়া বা এপিলেপ্সি রোগী ছিলেন? বার বার বিনা কারনে অজ্ঞান হয়ে যেতেন এই কথা হাদিসে কোথায় আছে?
নাস্তিকদের জন্য কান্না করা ছাড়া আর উপায় নেই কারন এই ভ্রান্ত অভিযোগটিও বাতিল এবং ভুল প্রমান হয়ে গেল।
❌অভিযোগ ১১/ হযরত মোহাম্মদ (সা) বার বার আত্মহত্যা করতে চাইতেন?
✅জবাবঃ বিশাল হাদিসের থেকে মুল অংশঃ ihadis.com, সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ৬৯৮২ , সহিহ হাদিসঃ তিনি পর্বতের চূড়া থেকে নিচে পড়ে যাবার জন্য একাধিকবার দ্রুত সেখানে চলে গেছেন। যখনই নিজেকে ফেলে দেয়ার জন্য পর্বতের চূড়ায় পৌঁছতেন, তখনই জিব্রীল (আঃ) তাঁর সামনে আত্মপ্রকাশ করে বলতেন, হে মুহাম্মাদ! নিঃসন্দেহে আপনি আল্লাহর রাসূল। এতে তাঁর অস্থিরতা দূর হত এবং নিজ মনে শান্তিবোধ করতেন। তাই সেখান থেকে ফিরে আসতেন। ওয়াহী বন্ধ অবস্থা যখন তাঁর উপর দীর্ঘ হত তখনই তিনি ঐরূপ উদ্দেশে দ্রুত চলে যেতেন। যখনই তিনি পর্বতের চূড়ায় পৌঁছতেন, তখনই জিব্রীল (আঃ) তাঁর সামনে আত্মপ্রকাশ করে আগের মত বলতেন।
নবীজি (সা) এর কাছে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওহী নাজিল হয়েছে অথচ উনি কখনোই আর আত্মহত্যা করতে চান নাই । কেন? বরং আত্মহত্যাকে এরপরে ইসলাম হারাম করে দিয়েছে। যদি নবীজি (সা) এর আত্মহত্যা করার প্রবনতা থাকতোই তাহলে এটা এরপরে বন্ধ করে দিলেন কেন? আরেক্তি কথা হচ্ছে যদি নবীজি (সা) জিব্রাইল (আ) নিয়ে মিথ্যাচারই করবেন তাহলে আত্মহত্যার সময় সেই জিব্রাইল (আ) এসে বার বার উনাকে নিষেধ করতেন কেন? আত্মহত্যা তো করেই ফেলতেন তাই না?

🤔কখনো ভেবেছেন মিথ্যুক নাস্তিকরা এমন মিথ্যাচার কেন করে?

নাস্তিক্যধর্মের অন্ধ বিশ্বাসীরা আসলে 'Psychopath' সাইকোপ্যাথি। এটি একটি পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার যা বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সনাক্তকরনেই বুঝা যায়। অগভীর আবেগ, কম ভয়, উদাসীন সহানুভূতি, ঠাণ্ডা মাথায় অন্যায় করা, নিজ দোষ শিকার না করা, নিজেকে অনেক কিছু মনে করা, মানুষকে মিথ্যা দিয়ে প্রভাবিত করা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, পরিকল্পনা করে খারাপ কাজ করা, ধান্দাবাজি, মানুষের ক্ষতি করে অনুতপ্ত না হওয়া, মানুষের কষ্ট দেখে উপহাস করা এবং অসামাজিক আচরণ যেমন খারাপ চরিত্রের দিকে ধাবিত হওয়া, স্বার্থ হাসিলের জন্য নিজের চরিত্র নষ্ট করা, পরের সাফল্যের বা শ্রমের উপর নিজ জীবনধারা বিন্যাস করা এবং ঠাণ্ডা মস্তিষ্কে অপরাধিত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি । মানুষের মধ্যে এসব আচরন বিদ্যমান থাকলে বুঝবেন সেই মানুষটি একটি সাইকোপ্যাথ । এসব কারণ নাস্তিকদের মধ্যে বিদ্ধমান। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? আমি সহজে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
নাস্তিকরা ইসলামের ব্যাপারে খুবই উদাসীন থাকে। তথ্য চুরি করে,বিকৃতি করে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা করে এবং এটা করতে তারা নৈতিক ভয় পায় না।এমন ঠাণ্ডা মাথায় মিথ্যাচার করে মানুষের সহানুভূতি নিতে চায় যদিও সভ্য মানুষদের কাছে ওরা অপমানিত।
আমি হাজার শক্তিশালী যুক্তি, তথ্য প্রমান আর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দেই না কেন ওরা নিজের দোষ স্বীকার করবে না বরং নিজেকে অনেক কিছু মনে করে এবং মানুষকে মিথ্যা দিয়ে প্রভাবিত করে।সরল মনা মুসলিম যারা ইসলাম বিষয় কম জ্ঞান রাখে তাদেরকে পরিকল্পনা করে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করে।এসব করে কখনই নাস্তিকরা অনুতপ্ত বোধ করে না। নাস্তিকরা খারাপ চরিত্রের অধিকারি হয় মদ গাজা এসব ব্যাক্তি সাধিনতা বলে অন্ধ বিশ্বাস করে ওরা।আজকে আমার লেখার বিষয় যেহেতু এটা না তাই আমি শুধু কারণ গুলো মিলিয়ে পাঠকদের সামনে পেশ করলাম যদিও উপরে আমি দেখিয়েছি নাস্তিকরা কিভাবে নবীজি (সা)কে নিয়ে মিথ্যাচার করেছে।
নাস্তিকদের সাইকোপ্যাথি রোগ নিয়ে বিস্তারিত একটি আর্টিকেল লিখবো আর সেখানে আরও ব্যাপক বিশ্লেষণ করবো ইনশাআল্লাহ। সাইকোপ্যাথি রোগে আক্রান্ত নাস্তিকরা নবীজি (সা) এর মত একজন শ্রেষ্ঠ সত্যবাদী মানুষকে নিয়ে মিথ্যাচার করবে এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু বিবেকবান,যুক্তিবাদী,সুস্থমনা,সত্যসন্ধানী,সত্য গ্রহণকারী সভ্য মানুষদের কাছে নাস্তিকদের মিথ্যাচার সরাসরি বাতিল,বাতিল এবং বাতিল। সন্দেহ নাই।
🖐উপসংহারঃ এরপরেও যদি সত্য মানতে নাস্তিকদের কষ্ট হয় এবং মিথ্যাচারের শিকল থেকে যদি বের হতে না পারে তাহলে আমাদের মত সভ্য এবং যুক্তিবাদী মানুষদের কিছুই করার নেই।আমরা নাস্তিকদের বোধগম্যতা আশা করি যদিও বানরদের বিবেক আশা করা আর নাস্তিকদের বোধগম্যতা আশা করি একই।তারপরেও।

Post a Comment

Previous Post Next Post