বলদা নাস্তিকের প্রশ্ন।

 


এক বলদা নাস্তিক প্রশ্ন করেছিল,

ফেরেস্তাদের রূপ কেমন? মানুষের মতো তাদেরও কি যৌনাঙ্গ বা পাকস্থলী মস্তিষ্ক ইত্যাদি আছে??? না থাকলে সে সবের অস্তিত্ব নিজ চোক্ষে বা অণুবীক্ষণযন্ত্রের মাধ্যমে দেখার সুযোগ আছে? যেহেতু নিজ চোখে অথবা প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েও যেহেতু দেখা যায় না তাই ফেরেশতাদের অস্তিত্ব নাই। 

এসব প্রশ্ন তারাই করতে পারে যারা মরা ডারুউইন দাদার বান্দর মার্কা বাণীতে অন্ধবিশ্বাসী। আসলে ফেরেশতা বিষয় নাস্তিকরা গণ্ডমূর্খ। কারন ইসলাম বিষয়ে এরা যে কিছুই জানে না, সেটাও জানে না। 

এখন আসি মুল জবাবেঃ

ফেরেশতারা মানুষের মতো নয় । মানুষের মতো যৌনাঙ্গ বা পাকস্থলী মস্তিষ্ক এসব ফেরেশতাদের নাই। এখন ফেরেশতার অস্তিত্ব নিজ চোখে অণুবীক্ষণযন্ত্রের মাধ্যমে দেখা যায় না তাই বলে এসবের অস্তিত্ব নেই - এ যুক্তি মিথ্যা এবং ভুল এবং ফেরেশতা বিষয় নাস্তিকদের অন্ধবিশ্বাস। 

পাঠক আমার কথা গুলো খেয়াল করুন। একই যুক্তি যদি নাস্তিকদের বেলায় আমি প্রয়োগ করি তাহলে কি ওরা মেনে নিবে? 

নাস্তিকরা কি চিন্তা করতে পারে? চিন্তার রুপ কেমন? আচ্ছা, চিন্তার মানুষের মতো কি যৌনাঙ্গ, পাকস্থলী বা মস্তিষ্ক ইত্যাদি আছে? চিন্তা কিসের ভিত্তিতে চিন্তা করতে পারে? চিন্তা কি নারী নাকি পুরুষ? না হলে সে সবের অস্তিত্ব নিজ চোক্ষে বা অণুবীক্ষণযন্ত্রের মাধ্যমে দেখার সুযোগ আছে?

এখন ফেরেশতাদের মতো কি নাস্তিকরা চিন্তা করার অস্তিত্বকেই অস্বীকার করবে একই যুক্তিতে?

বলদ নাস্তিকরা আরজের মতো প্রশ্ন করে ফেরেশতারা কি মানুষের মতো? হাহাহা।  আসুন এখন আমিও মুক্তমনে প্রশ্নের ঢিল ছুড়ে দেই। 

বাতাসের কি মানুষের মতো মস্তিষ্ক লিঙ্গ পাকস্থলী আছে? বাতাসের চেহারা কেমন? বাতাস নারী নাকি পুরুষ? বাতাস কি নিজ চোখে দেখা যায় এমনকি অণুবীক্ষণযন্ত্রের সাহায্য নিয়েও? "বাতাসের ভর" অনুভব করা গেলেও স্বয়ং "অনুভব" কে তো নিজ চোখে এবং অণুবীক্ষণ যন্ত্রের দ্বারা দেখা যায় না? অনুভবের রুপ কেমন? এখন নাস্তিকদের একই যুক্তিতে বাতাস এবং অনুভব কেও ফেরেশতাদের মতো  অবিশ্বাস করা উচিত নয় কি? নাস্তিক অন্ধবিশ্বাসীরা কি বলো?

নাস্তিকদের দেহে কি শক্তি আছে? শক্তির রং দেখতে সাদা নাকি কালো? শক্তি নারী নাকি পুরুষ? শক্তিকে নিজ চোখে দেখা যায়? অণুবীক্ষণযন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায়? শক্তির চেহারা কেমন? এরমানে ফেরেশতাদের মতো শক্তিকেও কি নাস্তিকরা অস্বীকার করবে? একই যুক্তি দুটো।

এরকম হাজারো প্রশ্ন করা যাবে এবং একই যুক্তি প্রয়োগ করে এমন সব অস্তিত্বকে নাস্তিকদের অস্বীকার করতে বাধ্য করবে যা অবিশ্বাস করলে সভ্য মানুষ নাস্তিকদেরকে থু থু দিবে।

যদি নিজ চোখে আর অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে কোন কিছুকে না দেখলে অস্বীকার করতে হয় অথবা সেসবের অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে হয় তাহলে এই দুই সুত্রে নাস্তিকরা কি ১৭৯৯ সাল অথবা ১৯৫৬ সালকে প্রমান করতে পারবে? ইতিহাস প্রমান করতে পারবে দুই সুত্র দিয়ে? সরল উত্তর হচ্ছে না। 

তাহলে কেন এসব বিশ্বাস করে? সহজ জবাব হলো, মানুষের মুখের সাক্ষ্য শুনে নাস্তিকরা এসবকে বিলিভ করে । ঠিক একই যুক্তিতে আমরাও মুসলিমরা নবী রাসুলদের মুখের সাক্ষ্য সত্য বলে বিলিভ করি। যেমন আল্লাহ, ফেরেশতা, জান্নাত-জাহান্নাম, পরকাল, কিয়ামত ইত্যাদি সব অদৃশ্য বিষয়ে। সাধারণ মানুষের মুখের সাক্ষ্য ভুল হতে পারে কিন্তু নবী-রাসূলদের মুখের কথা সাক্ষ্য চিরন্তন সত্য সন্দেহ নাই। ইসলামই সত্য। 

খেয়াল করেছেন একই সিস্টেমের যুক্তি কিন্তু। 

🌏🌏🌏

⏩ বিষয়ঃ বলদা নাস্তিকের প্রশ্ন। 

✍ এম ডি আলী।

Post a Comment

Previous Post Next Post