নাস্তিকরা কেন মূর্তি এবং ভাস্কর্যের পক্ষে সাফাই গাইবে? সেটা বুদ্ধিমান মানুষদের বোধগম্য নয়। ইসলাম এসব মূর্তিকে কিয়ামত অবধি হারাম করেছে বিধায় নাস্তিকরা কি এই কারনেই মূর্তির সাথে থাকবে?
শাহবাগী দরবার শরিফের সকল নাস্তিকদের উচিত মূর্তি এবং ভাস্কর্যের বিপক্ষে থাকা। কারন এসবের কোনো বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রমান নেই। মূর্তি ভাস্কর্যের সামনে দাঁড়িয়ে সম্মান দিলে আসলেই কি সম্মান পাওয়া যায়? এসব করা কি কুসংস্কার অন্ধ বিশ্বাস নয়? বিজ্ঞান কি বলে? নাস্তিক্যবাদ কি বলে?
মূর্তি ও ভাস্কর্য যাই হোক না কেন, এসব বানিয়ে নাস্তিকতার ও মানবতার কি ফায়দা হচ্ছে? তসলিমা ও তার আন্ধা মুরিদরা কেন এই যুক্তি দিচ্ছে না যে এসব না বানিয়ে টাকা গুলো গরিবদের দান করে দিলে অনেক মানবতার খেদমত হতো? এসব যুক্তি এখন কই? নাস্তিকরা কি যুক্তি দেয়া ভুলে গেছে?
নাস্তিকরা বুদ্ধিতে বিশ্বাস করে কিনা সন্দেহ তারপরও বলছি বুদ্ধিমান নাস্তিকরা আমার কথা অবশ্যই একমত পোষণ করবে। এটলিস্ট এই দিকটা খেয়াল করে হলেও নাস্তিকদের উচিৎ মুসলিমদের সাথে তাল মিলানো, কিন্তু না! ভিসা গায়েব হয়ে যেতে পারে, সাদা চামড়ার বাবা এবং দাদাদের ফয়েজ বরকতে!
আমাগো তসলিমা দাদির ভেদে মারেফাত সকল নাস্তিকরা জানার পরেও কিভাবে এসব অবৈজ্ঞানিক অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারে নাস্তিক মুক্তমনারা বিশ্বাস করতে পারে তা সত্য সন্ধানী মানুষরা চিন্তা করে এবং মনে মনে আফসোস করে আর বলে আমরা কি এমন নাস্তিক্যধর্ম চেয়েছিলাম?
কবি শিখিয়েছেন প্রশ্নের পাথরে বিক্ষত করতে, আস্থা রাখতে দ্বিতীয় বিদ্যায় তাই কিছু প্রশ্ন রেখে দিলাম দাদাবাবু ভক্ত নাস্তিকদের কাছে। আশাকরি নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে যুক্তিযুক্ত উত্তর পাবো।
সেদিন এক সমকামী নাস্তিক আমাকে প্রশ্ন করলো ইসলাম অনেক অমানবিক কারন ইসলামের ইতিহাসে মূর্তি ভাঙ্গার অনেক ঘটনা আছে।
আমি ওকে বললাম নাস্তিক্যধর্মেও মূর্তিকে সমর্থন করে না কারণ এগুলো অবৈজ্ঞানিক এবং কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাস এর ফলাফল। তাই ইসলাম যা করেছে (যদিও আপনারা ইতিহাসের আসল পেক্ষাপটের কারণ এসব বুঝেন না,জানতে চান না) সেটাকে নাস্তিক্যধর্মও সমর্থন করে এবং একদম খাঁটি নাস্তিক অবশ্যই ইসলামের এমন বৈজ্ঞানিক কাজকে সমর্থন করতে বাধ্য সন্দেহ নেই।
বেচারা আমার কাছ এমন যুক্তি শুনবে হয়তো সপ্নেও সপ্ন দেখেনি!
🌏🌏🌏
🤔 নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে ভাস্কর্য। ✍ এম ডি আলী।