তুই তো অনেক ইসলামের সমালোচনা করলি আমি সব গুলোর এমন জবাব দিলাম একটা খন্ডন করতে পারলি না। বরংচো অনেক জবাবতো নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতেও দিলাম। এইবার আমি তোকে প্রশ্ন করি?
হ্যাঁ হ্যাঁ কর - বলল নাস্তিক ফ্রেন্ড।
আদার চায়ে চুমক দিতে দিতে প্রশ্ন করলাম, আচ্ছা বুদ্ধি, চেতনা, শক্তি এগুলো কেন সৃষ্টি হলো?
কাকতালীয়ভাবে এমনে এমনেই সৃষ্টি হয়েছে - জবাব দিল নাস্তিক ফ্রেন্ডটি।
আমি বললাম এগুলো কাকতালীয়ভাবে সৃষ্টি হলেও কিভাবে বলবৎ আছে এখন পর্যন্ত ?
বুঝলাম নারে - নাস্তিক ফ্রেন্ড বলল।
আচ্ছা ধর একটা বিল্ডিং কাকতালীয়ভাবে তৈরি হয়ে গেল এখন বার বার তো একই সিস্টেমে বিল্ডিং তৈরি হলে সেটাকে আর কাকতালীয় বলা যায়না। তাই না? এখন, এই যে তুই দাবি করছিস তোর বুদ্ধি আছে, চেতনা আছে, শক্তি আছে। এসব তো তোর বিশ্বাস অনুযায়ী কাকতালীয়ভাবে এমনি এমনি সৃষ্টি। তাহলে তোর কথার খাতিরে যদি ধরেও নেই এগুলো এমনে এমনেই সৃষ্টি, তাহলে এগুলো কাকতালীয়ভাবে হলে তো সাথে সাথে ধবংস হয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু সেমন হচ্ছে না কেন? ধর তোর কাছে দশটি কয়েন আছে, এখন সব গুলো কয়েন উপরে ছুঁড়ে তোকে বার বার টসে জিতবে হবে। তোর সব সময় জিতার সম্ভাবনা কতোটুকু? বাস্তব সত্যি হলো কাকতালীয়ভাবে একবার পসিবল হলেও হতে পারে কিন্তু বার বার তো আর হবে না তাই না। কে এদেরকে বানিয়ে বলবৎ রেখেছে শুরু থেকে? চেতনা, বুদ্ধি, শক্তি এগুলো নিজে নিজেই কেন সৃষ্টি হতে গেল? এদেরকে যদি কেউ নিয়ন্ত্রণ না করে তাহলে এরা কার নিয়ন্ত্রণে এখনো অস্তিত্বে আছে অর্থাৎ শুরুতেই সৃষ্টি হয়ে শুরুতেই ধ্বংস হলো না কেন?নাস্তিক্যধর্মের দৃষ্টিতে আমার যৌক্তিক প্রশ্নের সমাধান কি?
নাস্তিক ফ্রেন্ডটি জবাব দিল, আমি জানি না এসবের উত্তর কি।
আমি বললাম তাহলে নাস্তিক্যধর্ম নিয়ে আমার সংশয়ের সমাধান আমি কোথায় পাব? আমি তো মুসলিম তারপরেও তোদের থেকে সমাধানের কথা বললাম। অথচ অনেক নাস্তিক আছে যারা নাস্তিক্যধর্ম নিয়ে চরম সংশয়ে আছে। শুনেছি তারা যখন নাস্তিকদের কাছে নাস্তিক্যধর্মের আলোকে কোন অভিযোগ করে তখন নাস্তিকরা কোনো যৌক্তিক সমাধান না দিয়ে ইসলাম নিয়েই উল্টো গালাগালি শুরু করে দেয়। এসব বাচ্চা সুলভ কর্মকাণ্ড দেখে অনেক নাস্তিকই এখন ডিপ্রেশনে ভুগছে এবং নাস্তিক্যধর্ম নিয়ে চরম লজ্জিত।
সে বলল, রিচার্ড ডকিন্সের "গড ডিল্যুশন" বইটি পড়তে পারিস৷ এই বইতে স্রস্টা বিষয় অনেক কিছুই লেখা আছে।
আমি বললাম, অনেক বছর আগেই এসব কেতাবের আগাগোড়া পড়া শেষ। আমার প্রশ্নের ধারের কাছেও কোন সঠিক উত্তর এই দুর্বল কেতাবে আমি পেলাম না, তাছাড়া রিচার্ড ডকিন্স কি নাস্তিক্যধর্মের কোন সমাধান্দাতা নাকি যে সে যাই বলবে সেটাই উত্তর, সেটাই সমাধান?
নাহহহহ! আসলে তেমন কিছুই না। আচ্ছা বাদ দে এসব টপিক। অন্যদিন আলাপ করবো। - সে বলল।
শেষ আরেকটা প্রশ্ন করি দোস্ত - আমি বললাম।
আচ্ছা কর (নারভাস হয়ে) - সে।
আমি একটি বিষয় খেয়াল করলাম তুই ইসলামের প্রতি বিশেষ করে নবীজি (সা) এর পার্সোনাল লাইফ বিষয় যে সস্তা লোডেড প্রশ্ন গুলো করলি আমি সব গুলোর প্রায়ই জবাবই নাস্তিক্যধর্মের আলোকেই দিলাম।
এবং তুই যখন প্রশ্ন করছিলি খুবই আত্মবিশ্বাস একটা ভাব তোর মনের মাঝে ছিল কিন্তু আমি যখন তোকে নাস্তিক্যধর্মের আলোকে প্রশ্ন করলাম এবং সমাধান চাইলাম কোন উত্তর দিতে পারলিই না বরং নারভাস ভাব দেখতে পেলাম। তুই নিজেই দেক তোর কপালে ঘাম বের হচ্ছে এই এসির মাঝেও অথচ একটু আগে কতো অহংকার একটা ভাব ছিল তোর মাঝে!
নাস্তিক ফ্রেন্ড চুপ।
আমি বলা শুরু করলাম। এখন যদি আমাদের এই আলোচনা পাঠ করে কোন লোক যদি বলে, আসলে নাস্তিকরা নাস্তিক্যধর্ম দিয়ে বিন্দুমাত্র কোনো সমাধান দিতে তো পারেই না উল্টো ইসলামের সমালোচনা মানে জালিয়াতি, মিথ্যাচার, ধোঁকাবাজি, প্রতারণা, তথ্য চুরি বিকৃতি ইত্যাদি করে পশ্চাদগামী নাস্তিকরা হুদাই সাধাসিধা মানুষদেরকে নাস্তিক্যধর্মের দিকে ভেড়ানোর চেষ্টা করে,তখন তোরা কি বলবি?
ওকে লজ্জা পেতে দেখে আমারও খারাপ লেগেছে। আমি নিজের থেকেই বললাম আচ্ছা বাদ দে এসব,,,,,,,,
🏟🏟🏟
📶 বিষয়ঃ নাস্তিক ফ্রেন্ডের সাথে।
✍ এম ডি আলী।